আমেরিকা: ১২৮ ( ১৯.৫ ওভার) ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১ উইকেটে ১৩০ (১০.৫ ওভার)
স্টেটসম্যান ওয়েব ডেস্ক: কেউ ভাবেননি তাঁরা প্রথম রাউন্ডের বাধা টপকে সুপার আটে খেলার সুযোগ পাবে। কিন্তু বাস্তবে সেটাই হল। সব থেকে বড় কথা পাকিস্তানের মতো হেভিওয়েট দলের বিরুদ্ধে সুপার ওভার জিতে ক্রিকেট বিশ্বকে চমকে দেন। সেই সংগঠক দেশ আমেরিকার দৌড় অবশেষে শেষ হল। গ্রুপের শেষ ম্যাচ বাকি থাকলেও রেজাল্টের হেরফের হবে না। দুটি ম্যাচ হেরে তারা বিদায় নিল।
প্রথম রাউন্ডে তাদের কাছ থেকে যে ব্যাটিং দেখতে পাওয়া গিয়েছিল, তার ছিঁটেফোঁটা এদিন মেলেনি। আর এক সংগঠক দেশ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২৮ রান নিয়ে যে জেতা যায় না, তা ওঁরা বুঝে গিয়েছিলেন। তাই খেলার শেষে অধিনায়ক জোনস বলছিলেন, রানটা ১৭০ থেকে ১৮০ হলে আমরা লড়াই করতে পারতাম। শুরুটা ভাল হলেও মিডল ওভারে পরপর উইকেট পড়ে যাওয়ায় আমরা খেলা ধরে রাখতে পারিনি। সেখানেই ম্যাচ হেরে যাই।
এটা ঘটনা যে, ম্যাচের শুরুটা দেখে বোঝা যায়নি আমেরিকা সহজে দমে যাবে। পাওয়ার প্লে-তে ১ উইকেটে ৪৮ রান করা দলটি কীভাবে ১২৮ রান শেষ হয়ে যায়। সত্যি এর ব্যাখ্যা নেই। শুরুটা করেন রাসেল। তারপর দায়িত্ব নেন রোস্টন চেজ। তিনি ৪ ওভারে ১৯ রান তিন উইকেট নিয়ে আমেরিকার দৌড় থামিয়ে দেন। তাই সাই হোপ (অপরাজিত ৮২) দুর্দান্ত ইনিংস খেললেও ম্যাচের সেরা হিসেবে চেজকে বেছে নেওয়া হয়। রোস্টনের মতো রাসেলও অবশ্য তিন উইকেট পেয়েছেন। ৩.৫ ওভারে ৩১ রান দিয়ে ৩ উইকেট পান রাসেল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ধরেই নিয়েছিল ম্যাচ যত তাড়াতাড়ি শেষ করা যায় ততই তাদের সুবিধা হবে। কারণ তারা প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে। ইংল্যান্ড আবার হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। তাই ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ডের গ্রুপের খেলা নক আউট হয়ে দাঁড়াবে। তার জন্য রান রেট বাড়িয়ে রাখা দরকার। সেদিকে তাকিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১০.৫ ওভারে ১ উইকেটে ১৩০ রান করে ম্যাচ জিতে যায়। ৯ উইকেটে ম্যাচ জেতার জন্য সাই হোপের ইনিংসের কথা আলাদা করে বলতে হবে। তিনি ৩৯ বললে ৮২ রান করেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ৪টি বাউন্ডারি ও ৮টি ওভার বাউন্ডারি। তাঁর সঙ্গে সমান তালে এগোলেন পুরান। তিনি ১২ বলে করলেন ২৭। ইনিংসে পাওয়া গেল ১টি বাউন্ডারি ও ৩টি ওভার বাউন্ডারি।