• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 April, 2025

জীবনের বিশেষ মুহূর্ত উপলব্ধি করলেন দুই তারকা মেসি ও জকোভিচ

মেসির ভূয়সী প্রশংসা করে জকোভিচকে বলতে শোনা যায় “মেসিকে শুধু ফুটবলার হিসেবে ভাবলে ভুল হবে। একজন বড় অ্যাথলিটও।

ফাইল চিত্র

টেনিস তারকা নোভাক জকোভিচের খেলা দেখতে সরাসরি মাঠে পৌঁছে গিয়েছিলেন ফুটবল তারকা আর্জেন্টিনার লিওনেল মেসি। সঙ্গে সন্তানরাও ছিলেন। মেসিকে দেখেই আপ্লুত সার্বিয়ান তারকা। তিনি জানিয়ে দিলেন, তাঁর টেনিস জীবনে মেসিকে প্রথম দেখেতে পেয়ে আমি ধন্য। জকোভিচের খেলা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। এটাই স্বাভাবিক। বিশ্ব জুড়ে তাঁর খ্যাতির শেষ নেই। মায়ামি ওপেনের সেমিফাইনালে মেসিকে পেয়ে নিজস্ব উচ্ছ্বাস লুকিয়ে রাখতে পারেননি জকোভিচ। ফাইনালে উঠেছেন গ্রিগর দিমিত্রভকে হারিয়ে। সেমিফাইনাল ম্যাচ গ্যালারিতে বসে চাক্ষুষ করেছেন মেসি। এই ঘটনাই দারুন গর্বের বলে মনে করছেন তিনি। খেলার শেষে নিজস্ব অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে জকোভিচ বলেন, “জীবনে বহু দর্শকের সান্নিধ্য পেয়েছি। কিন্তু আমার খেলা দেখার জন্য মেসি গ্যালারিতে বসে আছে তা আমার কাছে সত্যিই গর্বের। একটা অসাধারণ অনুভূতি। যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।

আরও ভাল লাগছে মেসি একা আসেননি, সঙ্গে সন্তানরাও। সবচেয়ে ভাললাগে যখন দেখি এখনো কিনা খেলা চালিয়ে যাচ্ছে। শুধু খেলছে তা নয়, দাপটের সঙ্গে কিনা খেলে বেড়াচ্ছে। তারজন্য তাকে প্রশংসা করার মতো ভাষা আমার জানা নেই।” আর্জেন্টিনার হয়ে বিশ্বকাপ জেতা শুধু নয়, বার্সেলোনার হয়ে জিতেছেন একাধিকবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ। যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। তাঁদের সঙ্গে গল্প করেন জকোভিচ। গল্পের বিষয়বস্তু বলতে গিয়ে জকোভিচ হাসি মুখে বলেন, “মেসির এক সন্তানের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছিল। আমাকে জানিয়েছে, খেলা দেখে তার মনে হয়েছে ১০ এর মধ্যে ৮ দিতে চায়। বলেছে, পরের ম্যাচে আমি যেন ১০ এর মধ্যে ১০ পাই। যেভাবে গুরুগম্ভীর ভাষায় আমাকে জানিয়েছে তাতে আমার এখন থেকে একটা চাপা ভয় কাজ করতে শুরু করেছে। তাই ফাইনালে খেলতে নামার আগে সামান্য হলেও চাপে থাকব।”

পরে মেসির ভূয়সী প্রশংসা করে জকোভিচকে বলতে শোনা যায় “মেসিকে শুধু ফুটবলার হিসেবে ভাবলে ভুল হবে। একজন বড় অ্যাথলিটও। গত ২০ বছর ধরে টানা ধারাবাহিকতা বজায় রেখে খেলে যাচ্ছে। সেই ব্যক্তি যদি কারও খেলা দেখতে সরাসরি মাঠে এসে হাজির হয় তার কাছে যে কতবড় আনন্দের। রোমাঞ্চ অনুভব করছি।” দুই জগতের দুই তারকা লিওনেল মেসি ও নোভাক জকোভিচ মিলনের ছবিটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।