অপরাজিত থেকে সুপার সিক্সে চলে গেল লাল-হলুদ ব্রিগেড

কলকাতা ফুটবলের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলায় শুক্রবার ইস্টবেঙ্গল ৩-০ গোলে কলকাতা পুলিশকে হারিয়ে অপরাজিতভাবে লিগ টেবলের শীর্ষে পৌঁছে গেল। সেই সুবাদে সুপার সিক্সের খেলায় ছাড়পত্র আগে পেয়ে গেলেও লাল-হলুদ ব্রিগেড এদিন আরও পাকা করে ফেলল। ইস্টবেঙ্গল ১২ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট পেয়েছে। একমাত্র কাস্টমসের বিরুদ্ধে জয় না পেলেও, ইস্টবেঙ্গল অমীমাংসিতভাবে খেলা শেষ করে মাঠ ছেড়েছিল। বিনো জর্জের দল ইস্টবেঙ্গল চলতি মরশুমে তরুণ ব্রিগেডদের নিয়ে লড়াইয়ে নেমেছিল। তাদের প্রথম থেকেই লক্ষ্য ছিল খেতাব জেতা। সেই লক্ষ্যে বড় পদক্ষেপ রাখল ইস্টবেঙ্গল। এদিন খেলার প্রথমার্ধেই ২-০ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গল খেলার শুরু থেকেই অত্যন্ত পরিকল্পনামাফিক ফুটবল খেলেছে। খেলার ৫ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। বাথালা সুনীল একক কৃতিত্বে গোলবক্সে ঢুকে জোরালো শটে বল পুলিশের জালে জড়িয়ে দেন। ১-০ গোলে এগিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল। আবারও আক্রমণে গতি বাড়িয়ে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বারবার গোলের লক্ষ্যে পৌঁছে যেতে থাকে লাল-হলুদ ব্রিগেড। খেলার ৩৫ মিনিটে তন্ময় দাস দুরন্ত গতিতে পুলিশের বাধা টপকে গোলরক্ষক আবদুলকে সামনে টেনে নিয়ে মাথার উপর দিয়ে বল গোলের জালে পাঠিয়ে দেন। খেলার প্রথমার্ধেই ইস্টবেঙ্গল ২-০ গোলে এগিয়ে যায়। দ্বিতীয় পর্বে ইস্টবেঙ্গল একটু হালকা চালে খেলার প্রবণতা দেখালেও পুলিশের ভূমিকা কখনওই বড় করে দেখা দেয়নি।

এককথায় বলা যায়, প্রতিপক্ষকে সামাল দেওয়ার জন্য সেইরকম আক্রমণ গড়ে তোলা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। তারই মধ্যে ইস্টবেঙ্গল পেনাল্টি পেয়েছিল। কুশ ছেত্রীকে বক্সের মধ্যে ফাউল করলে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। রেফারির বাঁশী বাজার আগেই অবশ্য সায়ন ব্যানার্জি গোল করে দিয়েছিলেন। সায়নের গোলটি বাতিল করে রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করতে পারেননি জেসিন টিকে। স্বাভাবিকভাবে হাতে গোনা গ্যালারিতে হাজির থাকা ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা হতাশ হয়ে পড়েন। অবশ্য খেলার শেষ মুহূর্তে সায়ন গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে ৩-০ গোলে এগিয়ে দেন।


এদিকে কলকাতা পুলিশের সামনেই আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে গোলপোস্টের পিছনে একটি লম্বা ব্যানার টানিয়েছিলেন সমর্থকরা। তাতে লেখা ছিল ‘তিলোত্তমা তোমার রক্তচোখ, আঁধার রাতের মশাল হোক। জাস্টিস ফর আরজি কর’। খেলার মাঠেও আরজি কর কাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ চলছে।