ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড আবার কি নতুন করে ফতোয়া জারি করতে চলেছে? এমনই সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। গত মরশুমে ভারতীয় দলের খেলোয়াড়দের জন্য বেশকিছু ফতোয়া জারি হয়েছিল। তা অনেকের কাছে গ্রহণযোগ্য হলেও, তারকা ক্রিকেটাররা সেইভাবে মেনে নিতে পারেননি। রোহিত শর্মারা একদিনের ক্রিকেটে সাফল্য পেলেও টেস্ট ক্রিকেটে সেইভাবে সাফল্যের ছবি দেখতে পাননি। ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছে ভারতীয় দল হোয়াইট হাউস হয়ে গিয়েছিল। আবার অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে ১-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হয় টিম ইন্ডিয়া।এরপরই বিসিসিআইয়ের কড়া মনোভাব লক্ষ্য করা যায়। রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলিদের উপর কঠোর নির্দেশিকা জারি করে বোর্ড। তবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর মনে করা হয়েছিল বিসিসিআই হয়তো সুর নরম করতে চলেছে। কিন্তু ভাবনা এবং বাস্তবের মধ্যে যে বিস্তর ফারাক, সেটা ফের একবার বোঝা গেল।
অস্ট্রেলিয়া সফরের সময় ভারতীয় ড্রেসিংরুমে ফাটলের বেশ কিছু খবর সামনে আসে। হেডকোচ গৌতম গম্ভীরও নাকি ড্রেসিংরুমের পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন। তিনি নিজেও নাকি পরিস্থিতির পরিবর্তন চেয়েছিলেন। এরপর ভারতীয় দলের সকল ক্রিকেটারের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক করে বোর্ড।
এদিকে জানা গিয়েছে, কয়েকজন প্রথম সারির টেস্ট ক্রিকেটারকে ভারত এ দলের হয়ে খেলতে হবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতির জন্য ইংল্যান্ড লায়ন্সের বিরুদ্ধে দু’টি প্র্যাকটিস ম্যাচে খেলতে হবে তাঁদের। এমনই নির্দেশ ভারতীয় বোর্ডের।
আইপিএল শেষ হওয়ার পর বেশ কিছু ভারতীয় ক্রিকেটারকে ভারত এ দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে। পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংল্যান্ড সফরে দল ঘোষণার জন্য হাতে অনেকটা সময় আছে। করুণ নায়ারকে দলে নেওয়া হতে পারে। রঞ্জি ট্রফিতে দারুণ ফর্মে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
উল্লেখ্য, এই করুণ নায়ারই ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩০৩ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। তারপর রহস্যজনকভাবে ভারতীয় দলে তাঁকে আর কখনও দেখা যায়নি। তবে কোন কোন সিনিয়র ক্রিকেটাররা ভারত এ দলের বিরুদ্ধে খেলবেন, তা আপাতত জানা যাবে না।
আইপিএল নকআউট পর্বের সময় টেস্ট দল নির্বাচন হবে। তখনই বোঝা যাবে, কোন কোন ক্রিকেটারকে পাওয়া যাবে। আসলে ক্রিকেটারদের টেস্টে ছন্দে ফেরাতেই বোর্ডের নতুন এই নির্দেশিকা। এর ফলে কি রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির মতো ক্রিকেটাররা চাপে পড়ে যাবেন? এর উত্তর এখনই স্পষ্ট না হলেও আগামী দিনে কোন বার্তা পৌঁছয়, সেটাই এখন দেখার বিষয়।