• facebook
  • twitter
Thursday, 30 January, 2025

ছোটদের ডার্বি গোলশূন্যভাবে শেষ হলো

এই ডার্বিতে বাংলার প্রতিভাবান ফুটবলারের দেখা পাওয়া গেল না

প্রতীকী চিত্র

রিলায়েন্স ফাউন্ডেশন ডেভেলপমেন্ট লিগে ছোটদের ডার্বি গোলশূন্যভাবে শেষ হলো। ইস্ট জোনের আঞ্চলিক পর্যায়ের যোগ্যতা নির্ণায়ক ম্যাচে ইষ্টবেঙ্গল এফসি অবশ্য গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট পেল। জোনাল পর্যায়ের যোগ্যতা অর্জনের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই ম্যাচে এক পয়েন্ট পাওয়া খুব জরুরী ছিল। বুধবার প্রথম ম্যাচে ওড়িশা এফসি হারালো মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-০ গোলে। এই জয়ে ওড়িশা গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট অর্জন করে। জোনালের যোগ্যতা অর্জনের ক্ষেত্রে তাই ইস্টবেঙ্গলের কাছে এই ডার্বি থেকে পয়েন্ট সংগ্রহ খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

দু’দলের হয়েই আইএসএলে খেলা বেশ কিছু ফুটবলারকে মাঠে নামতে দেখা গেল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে যেমন আমন সিকে ও সায়ন ব্যানার্জিরা খেললেন, তেমনি মোহনবাগানের সুয়েল ভাট, আমনদীপ এবং রাজ বাসফোরদের খেলতে দেখা গেল। আইএসএল ও আই লিগের অনূর্ধ্ব-২১য়ের যে সমস্ত ফুটবলাররা তাদের দলের হয়ে প্রথম একাদশে খেলার সুযোগ পায় না, তাদের নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতেই রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগ চালু হয়। আইএসএল ও আই লিগ ছাড়াও সারা দেশের বিভিন্ন ক্লাব ও একাডেমিগুলো এই লিগে অংশগ্রহণ করে। এককথায় সারা ভারতবর্ষের যুব ফুটবলারদের তুলে আনার ক্ষেত্রে রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে। তাই এই লিগে দেশের প্রতিভাবান ফুটবলারদের দেখা মেলে।

বাংলার বড় দুই দলের এই ডার্বিতে এমন প্রতিভাবান ফুটবলের কিন্তু দেখা পাওয়া গেল না। এদিনের ম্যাচে দু’দলের পরিচিত ফুটবলারদের খেলাতেও ভালো খেলার তাগিদ লক্ষ্য করা গেলনা। কোনপক্ষই দৃষ্টিনন্দন আক্রমণ তুলে আনতে পারেনি। প্রথমার্ধের ৩০মিনিটে মোহনবাগান এসজির পক্ষে তুষার বিশ্বকর্মা ইস্টবেঙ্গলের পেনাল্টি বক্সে একা গোলকিপারকে পেয়েও গোল করতে পারেনি। উল্লেখ করা যেতে পারে এই ঘটনায় তুষার বিশ্বকর্মা সরাসরি গোলকিপারের গায়ে বল মেরে দেয়। অসংখ্য মিস পাস এবং নিজেদের মধ্যে ৪/৫টা পাস খেলার অক্ষমতায় এদিনের ম্যাচ বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। বড় দলের এই ডার্বি ম্যাচে এদিন মাঠে হাজার পাঁচেক দু’পক্ষের সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। এই ম্যাচ দেখে তারা হতাশ হয়েছেন।

সম্প্রতি বাংলা দল সন্তোষ ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সন্তোষ ট্রফি জয়ী বাংলার কোনো ফুটবলারকেই এই ডেভেলপমেন্ট লিগে খেলতে দেখা যায়নি। সন্তোষ ট্রফিতে রানার্স কেরল দলের বেশ কিছু ফুটবলারকে অবশ্য বাংলার দলের হয়ে ডেভেলপমেন্ট লিগে খেলতে দেখা যাচ্ছে। গত মরশুমে এই ডেভলপমেন্ট লিগে বাংলা থেকে ৬টা দল অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেয়েছিল। অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটির স্পোর্টস একাডেমী গত মরশুমে ডেভেলপমেন্ট লিগে কোয়ালিফাই করে ন্যাশনাল স্টেজে খেলার সুযোগ করে নিয়েছিল।

এবারের ডেভেলপমেন্ট লিগে তাদের খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়নি। আইএসএল ও আইলিগের ক্লাবগুলো ছাড়াও দেশের বিভিন্ন রাজ্যের একাডেমি খেলার সুযোগ পেলেও বাংলার একটা একাডেমি কেন এভাবে বঞ্চিত হয়? গতবার আইএসএল ও আই লিগের ক্লাব না হয়েও কালীঘাট মিলন সংঘ ক্লাব, রিলায়েন্স ডেভেলপমেন্ট লিগে খেলার সুযোগ পায়। এবছর আইএসএল ও আইলিগের ক্লাবগুলো ছাড়া অন্য কোনো ক্লাব বাংলা থেকে খেলার সুযোগ পেল না।