আইএসএল ফুটবলে খারাপ ফলাফলের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতকে সরে যেতে হল। আসলে তাঁর উপরে চাপ সৃষ্টি করেই কর্মকর্তারা ঘুরপথে ইস্তফাপত্র তুলে নিলেন কোচের কাছ থেকে। এই প্রথা দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা ময়দানে চলে আসছে। একটা সময় ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কোচ ছিলেন খলিল আহমেদ। সেই খলিল আহমেদকে মাঠে বসিয়ে গ্যালারির উপর থেকে সবকিছু নির্দেশ দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল সুভাষ ভৌমিকের উপর। কিছুদিন বাদেই সম্মান নিয়েই খলিল আহমেদ ইস্তফা দিয়ে বাড়ি চলে গিয়েছিলেন। কুয়্দ্রাতেরও একই অবস্থা। তিনিও কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দিয়ে আবার পরিবারের কাছে চলে যাওয়ার ইস্তফা প্রকাশ করেছেন।
দলের খারাপ ফলাফলের জন্য ইস্টবেঙ্গলের কোচকে যেমন সরে যেতে হল, তেমনই এবার আইএসএল ফুটবলে গতবারের শিল্ডজয়ী মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কোচ হোসে মোলিনার উপরে চাপ সৃষ্টি হল। তার কারণ হল একটা ম্যাচ কোনও ক্রমে জিতলেও তার ঠিক পরের ম্যাচেই বড় ব্যবধানে হারতে হয়েছে বেঙ্গালুরুর কাছে। আর প্রথম ম্যাচটা ঘরের মাঠে ড্র করেছিল মোহনবাগান। মোহনবাগান দল গঠনে কর্মকর্তাদের তৎপরতা দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। এমনকি সচিব দেবাশিস দত্ত বলেছিলেন, এবারের দল গত বারের তুলনায় আরও বেশ কয়েকধাপ এগিয়ে থাকবে।
মুখে বলা যায়, কিন্তু এখনও পর্যন্ত তার ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না। সুনীল ছেত্রীর দলের কাছে হেরে যাওয়ার পরেই কোচ মোলিনার নামে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সেই ঝড় কীভাবে সামাল দেবেন, তা নিয়েও অনেক অঙ্ক কষতে শুরু করেছে। এটা স্বাভাবিক কেউই স্নায়ুর চাপ নিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন না, বরঞ্চ পিছিয়ে পড়তে হয়। তাই মোহনবাগানের কোচ মোলিনা ভাবতে শুরু করেছেন, কোচ বদলের নাটকে তিনিও কি কুশীলব? সামনেই মোহনবাগানের খেলা রয়েছে। কোচ মোলিনার সামনে আগামী ৫ অক্টোবর মোহনবাগানকে খেলতে হবে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে। অর্থাৎ মিনি ডার্বি ম্যাচে কোচ মোলিনার অ্যাসিড টেস্ট। আর ইতিমধ্যেই মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের রাশিয়ান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ এই মুহূর্তে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর।
গত ম্যাচেই চেন্নাইকে হারিয়ে চমক দিয়েছেন। তাই স্প্যানিশ কোচদের কলকাতা ময়দানে একটা প্যানিক তৈরি হয়ে গিয়েছে। তা থেকে কীভাবে ছুটি পাওয়া যায়, সেই পরিকল্পনা আগে করতে হচ্ছে মোহনবাগানের কোচকে। মহমেডান স্পোর্টিংয়ের পরেই আগামী ১৯ অক্টোবর ডার্বি ম্যাচে মুখোমুখি হতে হবে হবে কোচ হোসে মোলিনাকে। তাই সেই ম্যাচের ফলাফলের উপরে তাঁর থাকা, না থাকা অনেকটাই নির্ভর করবে। যদি কোনওরকম অঘটন ঘটে যায়, তাহলে তাঁর বিদায়ের ঘণ্টা বেজে যাবে।