ডার্বি ম্যাচ নিয়ে দুই দলের সমর্থকদের উৎসাহ বাড়ছে

আগামী শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে আইএসএল ফুটবলের মহারণে মুখোমুখি হতে চলেছে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ও ইস্টবেঙ্গল। স্বাভাবিকভাবেই দুই প্রধানের খেলাকে ঘিরে সবসময় উত্তেজনার পারদ চড়চড় করে বাড়তে থাকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। দু’দিন আগেই টিকিটের জন্য আগ্রহ দেখা গিয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। যেহেতু এবারের ডার্বি ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে, তাই লাল-হলুদ ব্রিগেডের কাছে নতুন একটা চ্যালেঞ্জ, তা নতুন করে বলার কোনও প্রয়োজন হয় না। তবে মোহনবাগান পাল্টা আক্রমণ ছুড়ে দিয়ে স্পষ্ট জানিয়েছে, এখন শুধু অপেক্ষা জেতার জন্য। আসলে লিগ টেবলে একেবারে তলানিতে রয়েছে ইস্টবেঙ্গল। চারটি ম্যাচ খেলা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু জয়ের মুখ দেখা নেই।

এমনকি কোনও ম্যাচেও একটা পয়েন্টও আসেনি। তারপরে লাল-হলুদ শিবিরে কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাত পদত্যাগ করে চলে যাওয়াতে বর্তমানে দায়িত্বে রয়েছেন কলকাতা ফুটবল লিগের কোচ বিনো জর্জ। তাঁর প্রশিক্ষণে একটা ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল খেললেও সেখানেও হারের মুখ দেখতে হয়েছে। ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, নতুন কোচ অস্কার ব্রুজোর নাম ঘোষণা হলেও এখনও পর্যন্ত তিনি ভিসা সমস্যায় আটকে কলকাতায় আসতে পারেননি। বড় ম্যাচের আগে যদি তিনি কলকাতায় আসেনও, তাহলেও তাঁকে গ্যালারিতে বসেই খেলা দেখতে হবে। কিন্তু নতুন ফিজিক্যাল ট্রেনার জেভিয়াস সাঞ্চেজকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একসঙ্গে আসার কথা অস্কারের।

অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল শিবিরে সুখের খবর দিমিত্রিয়াস দিয়ামান্তাকস ও মহম্মদ রাকিপ ফিরে আসলেও চোটের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন মহেশ সিং নাওরেম। পাশাপাশি, মহেশের খেলা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে। সেই কারণেই পি ভি বিষ্ণু ও সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরিবর্ত খেলোয়াড় হিসেবে অনুশীলনে রাখা হয়েছে। আশা করা যায়, জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে যাঁরা খেলেছিলেন তাঁরাই প্রথম একাদশে জায়গা পাবেন।


আবার মোহনবাগানের কোচ হোসে মোলিনা মনে করছেন, সব ফুটবলাররাই ফুরফুরে মেজাজে রয়েছেন। আসলে ডার্বি ম্যাচে যদি তাঁরা তিন পয়েন্ট ছিনিয়ে নিতে পারে, তাহলে আবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে অনেকটাই এগিয়ে যাবে মোহনবাগান। ইতিমধ্যেই দ্বিতীয় ডার্বি ম্যাচের দিন জানতে পেরে খেলোয়াড়রাও তৈরি হচ্ছেন কীভাবে দলের অবস্থানকে পরিবর্তন করা যায়। সেই লক্ষ্যেই তাঁরা এগিয়ে চলেছেন। এই মুহূর্তে চোট নিয়ে সেইভাবে কোনও খেলোয়াড়ের সমস্যা নেই। এককথায় বলা যায়, ইস্টবেঙ্গলের থেকে কয়েক ধাপ এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান।