আইএফএ-র সিদ্ধান্ত নিয়ে জটিলতা বাড়ছে

আইএফএ’র শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি কলকাতা ফুটবল লিগের প্রিমিয়ার ডিভিশনের খেলায় মহমেডান স্পোর্টিং শেষ কয়েক মিনিট ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে চার ভূমিপুত্রকে না খেলানোর জন্য তাদের পুরো পয়েন্ট কেটে নেওয়া হয়েছে। আর ওই পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলকে দিয়ে দেওয়া হয়। শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি কীভাবে এই সিদ্ধান্তে এল, তা নিয়ে ময়দানের ফুটবল কর্মকর্তাদের কাছে অনেক প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। হয়তো সত্যি, শেষ কয়েক মিনিট তিন ভূমিপুত্রকে খেলিয়েছিল সাদা-কালো ব্রিগেড। কিন্তু ওই খেলায় কেন রেফারি নজর দিলেন না, একজন ভূমিপুত্রের বদলে অন্য কেউ খেলতে নেমেছেন।

এমনকি রেফারিও এ ব্যাপারে কোনওরকম রিপোর্ট দেননি আইএফএ’র কাছে। আবার ইস্টবেঙ্গলও এর বিরুদ্ধে কোনওরকম প্রতিবাদও করেনি ২৪ ঘণ্টার ম্ধ্যে। তাহলে কোন ভিত্তিতে এই ঘটনা ঘটল? খেলার বেশ কিছুদিন বাদে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের কাছে একটা চিঠি যায়, তারা শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির সামনে এ ব্যাপারে জবাবদিহি করার জন্য। ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয় পুজোর ছুটির আগের দিন ওই সভা ডাকা হয়েছিল। কিন্তু তার আগের দিন রাতে মেলটি আসে সভায় উপস্থিত থাকার জন্য।

সবাই জানে, ১ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ময়দান বন্ধ থাকে। কিন্তু কী কারণে তড়িঘড়ি করে এই সভাটি ডাকা হয়েছিল, তা জানা নেই। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এই পয়েন্ট ইস্টবেঙ্গলকে দিয়ে দেওয়ার জন্য যে প্রয়াস নিয়েছে আইএফএ, তা অনেকেই মেনে নিতে পারেননি। এমনকি, অভিষেক ব্যানার্জির ডায়মন্ড হারবার ফুটবল ক্লাব কর্মকর্তারাও এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন। এমনকি, চলতি বছরে আইএফএ আর কোনও খেলায় তারা অংশ নেবে না। ডায়মন্ড হারবার ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জায়গায় প্রায় পৌঁছে গিয়েছে। তাদের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের ম্যাচ ছিল ১৪ অক্টোবর। বিশেষ কারণ দেখিয়ে সেই ম্যাচ বাতিল করে দিয়েছে আইএফএ।


বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আইএফএ চেষ্টা করছে ডায়মন্ড হারবার ক্লাবকে বোঝানোর, যাতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে তারা খেলতে নামে। আইএফএ দুই তিনদিনের মধ্যেই হয়তো সভা ডাকতে পারে এই ব্যাপারে। বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসতে পারেন আইএফএ’র সভাপতি অজিত ব্যানার্জি নিজে। এদিকে কালীঘাট স্পোর্টস লাভার্স অ্যাসোসিয়েশনকে শো-কজ করা হয়েছে আইএফএ’র পক্ষ থেকে। জানা যায়, বেটিং চক্রে কোনও এক ব্যক্তিকে ওই সংস্থার সঙ্গে ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে। ক্লাবের অন্যতম ফুটবল কর্মকর্তা ও কোষাধ্যক্ষ চিন্ময় চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, এখনও তাঁদের কাছে কোনও লিখিত চিঠি আসেনি, আবার কোনও মেলও তাঁদের কাছে পৌঁছয়নি আইএফএ’র পক্ষ থেকে। সেই কারণেই