• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ইস্টবেঙ্গলের অস্থায়ী নির্মাণ কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিনিধি— আইএসএল ফুটবলে প্লে অফ ম্যাচ খেলার পথ এখনও জিইয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল৷ বুধবার ইস্টবেঙ্গল ৪-২ গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে নতুন করে অক্সিজেন পেল৷ নিঃসন্দেহে লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে অবশ্যই ভালো বার্তা পৌঁছেছে৷ কিন্ত্ত বৃহস্পতিবারই আবার সমস্যা তৈরি হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের৷ সমস্যাটা হল, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে৷ ক্লাবের একটি অংশে অনুমতি ছাড়াই অস্থায়ী নির্মাণকাজ চলছিল৷ সেই নির্মাণকাজ

নিজস্ব প্রতিনিধি— আইএসএল ফুটবলে প্লে অফ ম্যাচ খেলার পথ এখনও জিইয়ে রাখল ইস্টবেঙ্গল৷ বুধবার ইস্টবেঙ্গল ৪-২ গোলে কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে নতুন করে অক্সিজেন পেল৷ নিঃসন্দেহে লাল-হলুদ সমর্থকদের কাছে অবশ্যই ভালো বার্তা পৌঁছেছে৷ কিন্ত্ত বৃহস্পতিবারই আবার সমস্যা তৈরি হল ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের৷ সমস্যাটা হল, সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে৷ ক্লাবের একটি অংশে অনুমতি ছাড়াই অস্থায়ী নির্মাণকাজ চলছিল৷ সেই নির্মাণকাজ প্রত্যক্ষ করার পরেই সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে তা ভেঙে দেওয়া হয়েছে৷ তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কর্মকর্তারা স্পষ্ট জানিয়েছেন, একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে এই ঘটনা ঘটেছে৷ সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্লাবের একটা দূরত্ব হওয়ায় এই ব্যাপারটা হয়েছে৷ আবার নতুন করে নির্মাণ কার্য শুরু হবে৷

আসলে, ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের প্রথম গেটের ডানদিকে যে কাফেটেরিয়া তৈরি হয়েছে, তার ঠিক পিছনেই একটি ভগ্নপ্রায় শৌচালয় ছিল৷ সেই শৌচালয়টিকে নতুন করে সংস্কার করে বানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ক্লাবের পক্ষ থেকে৷ সেই মতো কাজও শুরু হয়ে যায়৷ ময়দানে সমস্ত ক্লাবের জমি সেনাবাহিনীর অধীনে৷ তাই যে কোনও ক্লাবে কোনওকিছু নির্মাণ করতে গেলে, তা অবশ্যই সেনাবাহিনীর কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে৷ সেনাবাহিনীর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক উইং কম্যান্ডার হিমাংশু তিওয়ারি জানিয়েছেন, গত ২৬ মার্চ প্রথমবার সেনাবাহিনী টহল দিতে গিয়ে ওই অস্থায়ী নির্মাণ দেখতে পায়৷ সঙ্গে সঙ্গে কাজ বন্ধ করতে দেওয়া হয়৷

এরপরে গত ১ এপ্রিল ফের টহল দিতে গিয়ে দেখা যায়, কাজ বন্ধ হয়নি৷ তখনই নির্মিত বেশ কিছু অংশ ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়৷ ক্লাবের কাছে অস্থায়ী নির্মাণের ব্যাখ্যা চাওয়া হয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে৷ তবে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের অন্যতম কর্মকর্তা দেবব্রত সরকার জানিয়েছেন, তাঁরা ইতিমধ্যেই অনুমতি পেয়ে চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন৷ হয়তো কোনও কারণে সেই চিঠি সেনাবাহিনীর দফতরে গিয়ে পৌঁছয়নি৷ যার ফলে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্লাবের একটা ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছিল৷ কয়েকদিনের মধ্যেই নির্মাণকাজ আবার নতুন করে শুরু হবে বলে জানা গেছে৷ অতীতে মোহনবাগান ক্লাবেরও এইরকম অস্থায়ী নির্মাণকাজ ভেঙে ফেলে দেওয়া হয়েছিল৷