এবারে জাতীয় গেমসে বাংলার ফলাফল নজর কাড়লেও বেশকিছু সংস্থা তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেছেন, রাজ্য সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খেলাধুলোর পরিকাঠামোকে যেভাবে পরিবর্তন এনে উন্নতির কথা ভাবছেন এবং খেলাধুলোকে প্রাধান্য দিচ্ছেন, তখন সংস্থাগুলির ভূমিকা কী হবে, তার চিন্তা করতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, জাতীয় স্তরের বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তাদের পারফরম্যান্স থাকবে না, কিন্তু তদের অনুদান দেওয়া হবে, তা হবে না। আসলে যে সমস্ত সংস্থা নিয়মিতভাবে তাদের প্রতিযোগিতা সংগঠিত করে না বা করার প্রয়োজন মনে করে না, তাদের বিষয়ে ভাবতে হবে। দিনের পর দিন কর্মকর্তারা তাঁদের পদ দখল করে থাকবেন, কিন্তু ওই সংস্থার পারফরম্যান্স থাকবে না, তা আর চলবে না।
রাজ্য সরকার যেভাবে তাঁদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে, এটা কিন্তু ভাবতে হবে। এটা নিশ্চয়ই সহযোগিতা থাকবে, কিন্তু ওই সংস্থার ছেলেমেয়েদের কীভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, সেটা তাঁদের ভাবতে হবে। সরকার তো মাঠে নেমে পারফরম্যান্স করবে না। করতে হবে সেইসব সংস্থার ছেলেমেয়েদের। বাংলায় প্রচুর প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছেন। তাদের সুযোগ দিতে হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি জানি অনেক সময় প্রতিভাবান খেলোয়াড়দের বাদের তালিকায় রেখে কোচ বা কর্মকর্তাদের পছন্দের খেলোয়াড়কে দলে রাখা হয়। কিন্তু তাদের যোগ্যতা সম্পর্কে কোনও ধারণাই থাকে না। বাংলার খেলাধুলো আরও ভালো জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রচুর কাজ করা হয়েছে। এমনকি পদকজয়ীদের চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদি কোনও প্রতিভাবান খেলোয়াড় বঞ্চনার শিকার হয়, তা মেনে নেওয়া হবে না। এমনকি প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে অন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস আরও বলেন, আগামী দিনে বাংলা থেকে আরও প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক স্তরে দেখতে পাওয়া যাবে বলে বিশ্বাস। আমরা গর্ব করে বলতে পারব, বাংলা আবার জগৎসভায় সেরা আসন ফিরে পাবে।
বৃহস্পতিবার বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষ পূর্তি উৎসব ও নবম নেতাজি সুভাষ রাজ্য গেমসের সূচনা করেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। অনুষ্ঠানের শুরুতে ৩৬টি ক্রীড়াসংস্থার প্রতিনিধিরা মার্চপাস্টে অংশ নেন। তবে, মার্চপাস্টটি আরও সুন্দরভাবে পরিচালনা করা যেত। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু চৌধুরি, আইএফএ’র সভাপতি অজিত ব্যানার্জি, বিওএ’র সভাপতি চন্দন রায়চৌধুরী, সচিব জহর দাস সহ বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্বরা। বেঙ্গল অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের শতবর্ষের সূচনা করেছিলেন প্রাক্তন সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি। তিনিও ছিলেন। এদিন জাতীয় গেমসে পদকজয়ীদের আর্থিক পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। আগামী ৭ এপ্রিল থেকে মালদহ ও কলকাতায় রাজ্য গেমস শুরু হচ্ছে।