• facebook
  • twitter
Wednesday, 2 April, 2025

ছন্নছাড়া ফুটবল খেলে সুনীলরা আটকে গেলেন বাংলাদেশের কাছে

বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ফিফা ক্রমতালিকায় এমন এক জায়গায় রয়েছে যে, ভারতীয় ফুটবলের এই দুর্দিনেও দু’দলের মধ্যে ব্যবধান ৫০তম স্থানের।

ফাইল চিত্র

না, হল না! ভারত জিততে পারল না এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের খেলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। দেশের মাটিতে ছন্নছাড়া ফুটবল খেলল ভারত। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গোল করার মতো জায়গায় পৌঁছেও সুনীল ছেত্রীরা গোল পেলেন না। এমনকি বাংলাদেশও সহজ গোলের সুযোগ পেয়েছিল। সেই সুযোগ থেকে গোল হলে ভারতকে লজ্জায় পড়তে হত। ভারতীয় দলের আক্রমণভাগের ফুটবলারদের ব্যর্থতাই জয়ের হাসি হাসতে পারল না। মঙ্গলবার শিলংয়ের মাঠে যেভাবে ভারতীয় দল খেলা শুরু করেছিল, তাতে আশা করা গিয়েছিল বাংলাদেশ বেশ চাপে পড়ে যাবে। কিন্তু পাল্টা আক্রমণেও মাঝেমধ্যেই ভারতীয় শিবিরের রক্ষণভাগ এলোমেলো হয়ে গিয়েছিল। এদিন শুভাশিস বসুরা দুর্গ হয়ে না দাঁড়ালে এদিন হয়তো হারের মুখে পড়তে হত ভারতীয় দলকে।

বাংলাদেশ এই মুহূর্তে ফিফা ক্রমতালিকায় এমন এক জায়গায় রয়েছে যে, ভারতীয় ফুটবলের এই দুর্দিনেও দু’দলের মধ্যে ব্যবধান ৫০তম স্থানের। ওপার বাংলার টাইগাররা ভারতের বিরুদ্ধে শেষবার জিতেছিল ২০০৩-এ। যতই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে আসা হামজা চৌধুরী চলে আসুন না কেন, এই বাংলাদেশকে ভারত ঘরের মাঠে অন্তত অনায়াসে হারাবে সেটাই প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু মানলো মার্কেজের ছেলেরা পারলেন না। বাংলাদেশের হামজার দায়িত্ব ছিল ভারতের সুনীল ছেত্রীকে বোতলবন্দি করে রাখা। সেই কাজে তিনি সফল হয়েছেন। গোলের মুখে গিয়েও গোলকরতে পারেননি সুনীলও।

সেই কারণেই খেলার ৮৩ মিনিটের মাথায় সুনীলকে তুলে নেন কোচ। ম্যাচের শুরুটা দারুন করেছিল বাংলাদেশ। প্রথম ১০-১৫ মিনিট কার্যত বাংলাদেশিরাই দাপট দেখায়। বিশেষ করে হামজাকে রোখাটা বেশ কঠিন হচ্ছিল। তবে মিনিট কুড়ির মধ্যেই ম্যাচে ফেরে ভারতীয় দল। গোল করার জন্য সুরেশ, মহেশ ও ব্রাইসনদের নামিয়েও গোলের মুখ দেখতে পেলেন না ভারতীয় সমর্থকরা। তবে সংযুক্তি সময়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় রক্ষণভাগ। একটু হলেই হারের মুখে পড়তে হত দলকে। ম্যাচের শেষের দিকে বিশাল কাইত যদি অতন্দ্র প্রহরীর মতো দুর্গ রক্ষা না করতেন, তাহলে বিপদ ঘনীভূত হত। শেষ পর্যন্ত গোলশূন্যভাবে খেলা হয়।