সুহেলের গোলে কষ্টের জয় পেল সবুজ-মেরুন

ফাঁকা স্টেডিয়ামে ডুরান্ড কাপ শুরু

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাদামাটা অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে শুরু হল ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা৷ ফুটবল ভক্তরা স্টেডিয়ামে কোথায়? ফাঁকা মাঠ। তারই মধ্যে ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা শুরু হল। খেলোয়াড়দের সঙ্গে পরিচিত হন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস৷ ডুরান্ড কাপের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ও অচেনা দল কাশ্মীরের ডাউনটাউন হিরোজ৷ মোহনবাগানের সঙ্গে সমান তালে পাল্লা দিয়ে ৭২ মিনিট পর্যন্ত আটকে রেখেছিল দলটি৷ অবশ্য শেষ পর্যন্ত কাশ্মীরের ছেলে সুহেল ভাটের গোলে মোহনবাগান জয়ের হাসি হাসল৷ জয়সূচক গোলটি আসে ৭২ মিনিটের মাথায়৷

মোহনবাগান দলে এখনও পর্যন্ত সেইভাবে বিদেশি খেলোয়াড়রা যোগ না দেওয়ায় তরুণ ফুটবলারদের লড়াই করার জন্য নামিয়েছিলেন এদিনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোচ বাস্তব রায়৷ কলকাতায় এখনও এসে পৌঁছননি বিদেশি কোচ হোসে মোলিনা৷ তাই বাস্তব রায়ের প্রশিক্ষণে মাঠে নামে সবুজ-মেরুন শিবির৷ এমনকি দলের একমাত্র বিদেশি ফুটবলার টম অলড্রেডকে দলে রাখা হয়নি৷ কলকাতা লিগে খেলা রাজ বাসফোর, অভিষেক সূর্যবংশী, টাইসন সিং ও সুহেল ভাটদের নিয়ে দল গড়েছিলেন৷ রিজার্ভ বেঞ্চে মাত্র চারজন ফুটবলার ছিলেন৷ শুরু থেকেই নিজেদের দখলে বল রাখার চেষ্টায় দু’দলই ব্যস্ত ছিল৷ গতবারের ডুরান্ড কাপ ফুটবলের গ্রুপের তিনটি ম্যাচেই হার স্বীকার করেছিল ডাউনটাউন দল৷ তাদের বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে গোলের মুখ খুলতেই পারেনি মোহনবাগান৷ এদিনের খেলায় খেলোয়াড়দের মধ্যে বোঝাপড়ায় যে সমস্যা ছিল, তা বুঝতে পারা গিয়েছে৷ বিশেষ করে আশিস রাই ও গ্লেন মার্টিন্সের উপরেই নির্ভর করতে হয়েছিল তরুণ ব্রিগেডকে৷ একবার ফ্রিকিক থেকে সুহেলের শট বারে লেগে ফেরত আসে৷ এমনকি মোহনবাগানের ডিফেন্ডাররাও প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের আক্রমণ প্রতিহত করার জন্য সজাগ থাকেন৷ খেলার প্রথমার্ধে কোনও পক্ষই গোল করতে পারেনি৷


দ্বিতীয় পর্বে কিছুটা আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ায় মোহনবাগান৷ কয়েকটি গোলের সুযোগও তৈরি করেছিল৷ কিন্ত্ত সেই সুযোগগুলি কাজে লাগাতে পারেনি৷ ৭১ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে উড়ে আসা বল মোহনবাগানেরগোলরক্ষক জাহিদ বল ধরতে গিয়ে মিস করেন৷ সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ডাউনটাউনের এক ফুটবলার যদি পা ছোঁয়াতে পারতেন, তাহলে গোল হয়ে যেত৷ ঠিক তার ২ মিনিট বাদেই মোহনবাগান গোল পেয়ে যায়৷ মার্টিন্সের কাছ থেকে বল পেয়ে অভিষেক বল বাড়িয়ে দেন বক্সের মধ্যে সুহেলকে৷ সুহেল বল ধরেই তা গোলের জালে জড়িয়ে দেন৷ মোহনবাগান ১-০ গোলে এগিয়ে যায়৷ এগিয়ে যাওয়ার পরেই মোহনবাগান রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে থাকে৷ এমনকি গোলরক্ষক জাহিদকে বদল করে কোচ বাস্তব রায় মাঠে নামান ধীরাজ সিংকে৷ বাকি সময়টা কাশ্মীরের দলটি বেশ দাপটে খেলতে থাকে৷

তবে, মোহনবাগানের রক্ষণভাগে ফাটল ধরাতে পারেনি৷ প্রথম ম্যাচে মোহনবাগান দুর্বল দলকে হারাতে গিয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছিল৷ এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, গতবার ডুরান্ড কাপে সুহেল ভাট গোল পেয়েছিলেন৷ এবারেও সেই ডুরান্ড কাপে গোল করলেন৷ ম্যাচের শেষে সুহেল বলেন, আমার ভালো লাগছে গোল করতে পেরে৷ রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের নিয়ে দল গড়ে মোহনবাগান কষ্টের জয় পেয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে ঘরে ফিরল৷