তারকা ফুটবলার এমবাপে এবার বড় বিপাকে পড়লেন

তারকা ফুটবলার এমবাপে এবার বড় বিপাকে পড়লেন বেশ কিছুদিন ধরেই স্পেনের তারকা ফুটবলার কিলিয়ান এমবাপেকে নিয়ে বেশ সমস্যার মধ্যে পড়েছেন কর্মকর্তারা। আর এই সমস্যা অন্য পথে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রথমে তো চোটের বাহানা দেখিয়ে দেশের হয়ে না খেলার একটা প্রবণতা দেখা দিয়েছিল এমবাপের। কিন্তু ফুটবল কর্মকর্তারা এমবাপের এই ব্যবহার কোনওভাবেই মানতে পারছিলেন না। কিন্তু এর মধ্যে আরও একটা বিপদ এমবাপেকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। নেশনস লিগে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে এমবাপে খেলেননি চোটের কারণ দেখিয়ে। এ ব্যাপারে বিরক্ত প্রকাশ করেছেন কর্মকর্তারা। আসলে সেদিন রাতেই দেখা গিয়েছে সুইডেনের একটি রেস্তরাঁয় বেশ গল্পে মশগুল রয়েছেন। তাঁর মুখে অবশ্য মাস্ক পরা ছিল। সঙ্গে বেশ কয়েকজন বন্ধুও ছিলেন।

এই নিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তারপরেই এমবাপের বিরুদ্ধে আরও একটি ঘটনা উঁকি দিয়েছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। কিন্তু সবচেয়ে মজার ব্যাপার হল রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তিনি দিব্যি খেলছেন। কিন্তু দেশের হয়ে না খেলার প্রবণতা কেন হচ্ছে, এই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তাঁর কোনও সমস্যা হচ্ছে কিনা, এটা সমীক্ষা করার ব্যাপারে কর্মকর্তারা বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন। কেন তিনি দেশের হয়ে না খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন, তা বোঝা যাচ্ছে না। এবারে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তিনি এই অভিযোগ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

তবে, এমবাপে কেন দেশের হয়ে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করছেন না, এ ব্যাপারে লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর উদাহরণ টেনে এনেছেন। তাঁদের মধ্যেও অনেক সময় দেখা গিয়েছে দেশের হয়ে না খেলতে ওই দুই তারকা ফুটবলারদের। এবারে ওই পথেই হাঁটতে শুরু করেছেন বিশ্বকাপার কিলিয়ান এমবাপে। আসলে ফুটবলের শিরোনামে যখন নিজেদের নাম লিখিয়ে ফেলেন, তখন জাতীয় দলের হয়ে খেলার ইচ্ছেটা অনেকটাই কমে যায় এবং আগ্রহও থাকে না। তবে, এই মুহূর্তে জানা গিয়েছে, লিওনেল মেসি ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো দেশের হয়ে খেলার জন্য এগিয়ে এসেছেন। তাই দেশকে ট্রফি তুলে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেন এবং সেরা খেলাটা খেলে নিজেদের প্রকাশ করেন। তাঁরা মনে করেন, দেশের সম্মান সবার উপরে। তাকে কখনওই ছোট করা যাবে না।


এই বিতর্ক যখন চলছে, আরও একট সমস্যার মধ্যে পড়ে গেলেন এমবাপে। অবশ্য এই সমস্যা সম্পর্কে এমবাপে কিছু বলতে চাইছেন না। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ এসেছে, তার সত্যতা কতটা তা প্রমাণ করার জন্য একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সম্প্রতি স্টকহোমে এই ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে এমবাপের। ফরাসি লিগ কমিটির শুনানিতেও এমবাপেকে হাজির হতে হয়েছিল। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে এমবাপে বলেছেন, এটা একেবারে মিথ্যে খবর। পিএসজি’তে গিয়েছিলাম আমার বাকি অর্থ নেওয়ার জন্য। তাই আমার নামে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কোনও লাভ হবে না।

তবে এমবাপের এই ঘটনায় ফরাসি ফুটবল দলের অন্দরে পরিবেশ খারাপ হয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন কোচ দিদিয়ের দেশঁ। তিনি বলেছেন, এমন কিছু ঘটনা হওয়া উচিত নয়, যা দেশের কাছে খারাপ বার্তা পৌঁছয়। সেই কারণেই এমবাপের ধর্ষণের বিতর্ক যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেষ হওয়া উচিত।