বিসিসিআইয়ের সভাপতি পদে বসার পরেই সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছিলেন, সবচেয়ে আগে ঘরােয়া ক্রিকেটের দিকেই নজর দেওয়া। তাই বাের্ডের প্রথম পদক্ষেপই হবে ক্রিকেটের উন্নতির স্বার্থে কিভাবে এই কাজে এগিয়ে যাওয়া যায়। সেইসঙ্গে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে উজ্জ্বীবিত করবার জন্যে এমন কিছু করতে হবে যাতে স্থানীয় খেলােয়াড়রা বেশি সুযােগ পাবেন।
শুধু তাই নয় এইসব প্রতিযােগিতা থেকে বাছাই করা সম্ভব হবে সেরা খেলােয়াড়দের। আর ওইসব খেলােয়াড়দের থেকেই অনেকেই ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার একটা পথ তৈরি হয়ে যাবে। সেইমতন তিনি কথা রেখে এগিয়ে এসেছেন। সৌরভ গাঙ্গুলি এমন একটা রূপরেখা ইতিমধ্যেই তৈরি করেছেন।
ভারত ও বাংলাদেশের টি-২০ ক্রিকেট সিরিজ শেষ হওয়ার পরেই পরবর্তী ম্যাচ অর্থাৎ প্রথম টেস্ট খেলবে ১৪ নভেম্বর। আর তারপরেই কলকাতার ইডেন উদ্যানে ঐতিহাসিক ম্যাচে মুখােমুখি ভারত ও বাংলাদেশ। এই ম্যাচটিকে এমনভাবে সংগঠিত করতে চায় সিএবি। সেদিকেও নজর রেখে এগিয়ে চলেছেন সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। আর তারই মাঝে কাশ্মীরে কিভাবে ক্রিকেটকে আরও উন্নত করা যায় সেই ভাবনা ইতিমধ্যেই করে ফেলেছেন।
কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম দফায় আলােচনা সেরে ফেলেছেন তিনি। সােমবার বাের্ডের দফতরে কাশ্মীর দলের অধিনায়ক পরভেজ রসুল, মেন্টর ইরফান পাঠান ও জম্মু কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে কথাবার্তা সেরে ফেলেছেন। বৈঠক শেষে সৌরভ গাঙ্গুলি বলেছেন, কাশ্মীরে ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সবরকম সহযােগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে বিসিসিআই।
অন্য সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পরে সেখানকার অবস্থা পুরােপুরি শান্ত হয়ে গেলেও হােম ম্যাচ করার আশ্বাস দিয়েছেন সৌরভ। সেইসঙ্গে সেখানকার ক্রিকেট পরিকাঠামাে আরও উন্নততর জায়গায় নিয়ে যাওয়ার জন্য একটা রূপরেখা তৈরি করতে চান সভাপতি সৌরভ।
অবশ্য তিনি কাশ্মীরের জন্যে আলাদা চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছেন। সৌরভ বলেছিলেন, যেখানে ক্রিকেটের পরিকাঠামাে সেইভাবে নেই, সেখানকার পরিস্থিতির সঙ্গে মােকাবিলা করেই ক্রিকেটের অভ্যুত্থান ঘটাতে হবে।