দিল্লি – ক্রিকেট অ্যাসােসিয়েশন অফ বেঙ্গলের সভাপতি এবং আইপিএল ক্রিকেটে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের পরামর্শদাতা সৌরভ গাঙ্গুলি ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের ওমবাডসম্যান এবং এথিক্স অফিসার অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ডি কে জৈনের চিঠির জবাবে স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে তাঁর বক্তব্য জানিয়েছেন বাের্ডের একজন সিনিয়র মুখপাত্র যিনি গােটা বিষয়টি জানেন তিনি বলেছেন, সৌরভ বিচারপতি জৈনকে লেখা চিঠিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে ব্যাখ্যা করেছেন আইপিএল ক্রিকেট সংগঠনের ব্যাপারে কোনও কমিটির সঙ্গে তিনি যুক্ত নন। সৌরভ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন এই মুহূর্তে আমি ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের কোনও পদে নেই। তাছাড়া সংগঠন, ম্যানেজমেন্ট এবং আইপিএল ক্রিকেট পরিচালনার ব্যাপারে কোনও কমিটির সদস্য নই। আগে আমি বাের্ডের টেকনিক্যাল কমিটি, আইপিএল টেকনিক্যাল কমিটি এবং আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য ছিলাম। এই সব কমিটি থেকে আমি হয় পদত্যাগ করেছি নয়তাে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছি।
বাের্ডের ওই মুখপাত্র বলেছেন, বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালসের পরমর্শদাতা আরও জানিয়েছেন, তিনি কোনওভাবেই কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের সঙ্গে যুক্ত নন। কেকেআর দলটি একটি ফ্রানচাইজি ক্রিকেট দল, যাদের মালিক রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড। এই কোম্পানি ১৯৫৬ সালে কোম্পানি আইনের অধীনে গঠিত। আমি এই কোম্পানির কোনও শেয়ারহােল্ডার অথবা ডিরেক্টর নই। সৌরভ আরও লিখেছেন রেড চিলিজ এন্টারটেইনমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড অথবা তার ফ্রানচাইজি দল নাইট রাইডার্সের সঙ্গে ক্রিকেট অ্যাসােসিয়েশন অফ বেঙ্গলের কোনও যােগাযােগ বা সম্পর্ক নেই। সিএবি কোনওভাবেই নাইট রাইডার্স দলটির মালিক, তাকে নিয়ন্ত্রণ করা, দলটি ম্যানেজ করা অথবা তাদের পরামর্শ দেওয়া কোনও কিছুর সঙ্গেই যুক্ত নয়। যখন আইপিএল মরশুম আসে তখন সিএবি শুধুমাত্র অর্থের বিনিময়ে ইডেন নাইট রাইডার্সকে ভাড়া দেয়। ভারতীয় ক্রিকেট বাের্ডের সংবিধান অনুযায়ী সৌরভ স্বার্থের সংঘাত আইনের বিরুদ্ধে যাচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে সৌরভ লিখেছেন, এই ধরনের মানসিকতার পিছনে যে উদ্দেশ্য কাজ করছে তা হল কেউ একজন একটি নির্দিষ্ট পদ অধিকার করে থাকলে সে বা তিনি কোনও অর্গানাইজেশনাল ইউনিট বা দলের ওপর প্রভাব খাটাতে পারেন সুবিধা আদায়ের জন্য। কলকাতা থেকে ভাস্বতী শান্তুয়া, রঞ্জিত সিং এবং অভিজিৎ মুখার্জি নামে তিন ব্যক্তি বাের্ডের ওমবাডসম্যানের কাছে চিঠি লিখে জানতে চান ইডেনে দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে ম্যাচে সৌরভ কিভাবে সিএবি’র প্রধান হিসেবে দিল্লি দলটির ডাগ আউটে বসেছিলেন। তারপরই ওমবাডসম্যান সৌরভকে চিঠি পাঠিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে স্বার্থের সংঘাত ইস্যুর ব্যাখ্যা করার নির্দেশ দেন।