সেরা ফিল্ডার হওয়ার প্রতিযোগিতায় ভারতের তিনজন খেলোয়াড়ের নাম নথিভুক্ত হয়েছিল। আসলে ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ম্যাচে ভারতের এই তিন ফিল্ডার দারুণ ফর্মে ছিলেন। সেই কারণে সেরা ফিল্ডার নির্বাচনে অনেক অঙ্ক কষতে হয়েছে নির্বাচকদের। এই লড়াইয়ে ছিলেন শ্রেয়স আইয়ার, হর্ষিত রানা ও শুভমন গিল। শেষ পর্যন্ত এই লড়াইয়ে বাজিমাত করলেন শ্রেয়স আইয়ার। শুধু ব্যাটে-বলে নয়, ফিল্ডিংয়ে নজর কেড়ে নেন শ্রেয়স আইয়ার। তাই দু’টি সিরিজ শেষে শ্রেয়স আইয়ারকে সেরা ফিল্ডার হিসেবে বাছাই করে নেওয়া হয়।
রাহুল দ্রাবিড়ের সময় থেকেই ম্যাচ শেষে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার দেওয়ার রীতি চালু করেছিলেন ভারতের ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। গৌতম গম্ভীর নতুন প্রধান কোচ হলেও ফিল্ডিং কোচ দিলীপই রয়েছেন। এই পুরস্কারের জন্য ভাল প্রতিযোগিতা চলে দলে। আগে শুধুমাত্র আইসিসি ট্রফি চলাকালীন এই ট্রফি দেওয়া হত। এখন প্রতিটি সিরিজ়েই হয়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই পুরস্কারই পেয়েছেন শ্রেয়স।
আহমেদাবাদে ম্যাচ শেষে ড্রেসিংরুমে ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফদের সামনে দিলীপ বলেন, ‘আমরা দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছি। ভাল ক্যাচ ধরেছি। রান আউট করেছি। বাউন্ডারিতেও ভাল ফিল্ডিং করেছি। তাতে খেলার ছবি বদলে গিয়েছে। দল হিসাবে এটা আমাদের গর্ব। দলের ফিল্ডিং দেখে আমি খুব খুশি।’
তার পরেই তিন ক্রিকেটারের নাম করেন দিলীপ। তিনি বলেন, ‘বাউন্ডারিতে হর্ষিত দুর্দান্ত ফিল্ডিং করেছে। অন্তত ১০ রান বাঁচিয়েছে। এক জন জোরে বোলারের পক্ষে এটা সহজ নয়। শুভমনও দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেছে। কিন্তু আমি সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছি শ্রেয়সকে দেখে। শুধু ক্যাচ ধরা নয়, ও দুটো রান আউটও করেছে। বাউন্ডারিতেও ভাল ফিল্ডিং করেছে। তাই সব মিলিয়ে শ্রেয়সই সেরা ফিল্ডার, এতে কোনও দ্বিমত নেই।’ শ্রেয়স আইয়ার এই সম্মান পেয়ে দারুণভাবে উৎসাহিত। তিনি মনে করেন, আগামী দিনে আরও ভালো ফিল্ডিং করতে আমাকে অনুপ্রাণিত করবে। আমি সবসময়ই ভারতের জয়কে দেখতে চাই। তার জন্য খেলার মাঠে যা যা করণীয়, তা সফল করার চেষ্টা করি।