বাংলার ক্রিকেট শিবিরে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করল মহম্মদ শামিকে নিয়ে। যখন রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেটের আগে মহম্মদ শামি কলকাতায় এসেছিলেন এবং কোচ ল্ক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গে আলাপচারিতার মধ্যে দিয়ে বলতে চেষ্টা করেছিলেন, বাংলার হয়ে খেলতে আমার কোনও অসুবিধে নেই। সেই কথা প্রসঙ্গে প্রথম ম্যাচে মহম্মদ শামিকে রেখেই দল গঠন করা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু বল করতে গিয়ে শামি আবার তাঁর পুরনো জায়গাতে চোট পান। যার ফলে তাঁর পক্ষে বাংলা দলের হয়ে খেলা সম্ভব হয়নি। এমনকি পরবর্তী ম্যাচগুলিতে শামি ইচ্ছা প্রকাশ করলেও বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট একাডেমি থেকে তাঁর ফিটনেস সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি। তবে, বুধবার ফিটনেস সার্টিফিকেট নিয়েই বাংলার হয়ে মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে খেলার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই বাংলার কোচ চাইছেন, শামি যদি দলে ফিরে আসতে পারেন, তাহলে দলের চেহারাটা পুরোপুরি বদলে যাবে। বাংলার ছেলেরাও সাহস পাবেন শামিকে দেখে।
প্রায় এক বছর বাদে আবার মাঠে নামতে চলেছেন ভারতীয় দলের পেসার মহম্মদ শামি। শামি শেষবার মাঠে নেমেছিলেন ২০২৩ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনালে। খেলাটি হয়েছিল ১৯ নভেম্বর। ফাইনালে হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার কাছে। তারপর হাঁটুতে চোট নিয়ে নানা সমস্যার মধ্যে পড়ে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, বিদেশে গিয়ে হাঁটুতে অস্ত্রোপচারও করেন। অস্ত্রোপচার করার পরেও তিনি সেইভাবে সুস্থ বোধ করতে পারেননি। যার ফলে মাঠে নামা তাঁর কাছে সংশয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। আসলে, একজন বোলার দীর্ঘদিন যদি মাঠের বাইরে থাকেন, তাহলে মানসিক দিক দিয়ে সেই বোলার অনেকটাই ভেঙে পড়েন। শামি ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, বর্ডার-গাভাসকার ট্রফিতে ভারতীয় দলের হয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে যাবেন। ভারতীয় দলের হয়ে তাঁর এই মুহূর্তে খেলা সম্ভবপর হচ্ছে না।
বোর্ড কর্মকর্তা ও নির্বাচকরা জানিয়ে দিয়েছেন, ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে শামিকে আসতে হবে ভারতীয় দলে। তাই অত্যন্ত প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে শামির কাছে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা। যদি এমন হয়, শামি তাঁর ফিটনেস ও পারফরম্যান্স সবাইকে অবাক করে দিতে পারে, তাহলে অস্ট্রেলিয়া সফরে শেষ দু’টি ম্যাচে ভারতীয় দলে অন্তর্ভুক্ত হওয়া সম্ভাবনা থাকবে। তবে নির্ভর করতে হবে, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের উপরে। এদিকে বাংলা শিবির শামির অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে চাইছে। তাই মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে শামিকে মাঠে নামিয়ে কোনও অঘটন ঘটাতে পারে কিনা, সেই ভাবনায় রয়েছেন বাংলার কোচ। গত ম্যাচে বাংলা তিন পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে কর্নাটকের বিরুদ্ধে ম্যাচ খেলে। উত্তর প্রদেশের ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট এলেও ঘরের মাঠে বিহার ও কেরলের বিরুদ্ধে এক পয়েন্ট করে এসেছে। তাই সরাসরি ম্যাচ জেতার জন্য বাংলা আপ্রাণ চেষ্টা করবে, তা নতুন করে বলার কেনও কারণ নেই।