অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে সিএবি-র অনুষ্ঠানে বড় দাবি শামির

বছর শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরে উড়ে যাবে টিম ইন্ডিয়া। বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে গত দুবারই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে জয় পেয়েছে ভারত। এবার সেখানে হ্যাটট্রিকের লক্ষ্য নামবেন রোহিতরা। এবার কি কোনও বাড়তি চাপ থাকবে ভারতের উপর? সেটা একেবারেই মনে করেন না মহম্মদ শামি। বরং অস্ট্রেলিয়াই যে চিন্তায় থাকবে, সেটা স্পষ্ট করে দিলেন ভারতের তারকা পেসার। সিএবি-র বিশেষ পুরস্কার পেয়ে নিজের মত জানিয়ে গেলেন তিনি।

গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে চোট পেয়েছিলেন শামি। তার পর অপেক্ষা বেড়েছে ক্রিকেট মাঠে ফেরার। আইপিএল, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে পারেননি। সম্ভবত বাংলার হয়ে রনজি ট্রফি দিয়েই ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন ঘটতে চলেছে শামির। সামনে নিউজিল্যান্ড সিরিজও রয়েছে। শামি যদিও রিকভারি নিয়ে খুব বেশি ভাবছেন না। বরং মাঠে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন তিনি। যে কোনও ফরম্যাটেই হোক না কেন, নিজের সেরাটা দিতে তৈরি শামি।

বছর শেষে অস্ট্রেলিয়া সফরেও কি ফের দেখা যাবে শামিকে? গত সফরে না থাকলেও ২০১৮-১৯ বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে দুরন্ত ফর্মে ছিলেন। তিনি জানিয়ে দিলেন, “অস্ট্রেলিয়াকে এবার আমাদের নিয়েই ভাবতে হবে।  গত দুবার আমরা ওখানে গিয়ে জিতেছি। আগে অস্ট্রেলিয়াকে ওদের দেশে গিয়ে হারানো সহজ ছিল না। কিন্তু এবার অস্ট্রেলিয়ারই চাপে থাকা উচিত।” তবে তার আগে বাংলাদেশ সিরিজ রয়েছে। পাকিস্তানকে হারিয়ে উজ্জীবিত শাকিবরাও। যদিও শামির মতে, পাকিস্তানকে হারানো আর ভারতের বিরুদ্ধে জয় পাওয়া এক কাজ নয়।


একই বক্তব্য ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়েরও। সিএবি-র অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। দেশের মাটিতে ভারতকে যে হারানো কঠিন, সেটা নিয়ে কোনও সংশয় নেই তাঁর। এই সিরিজে ভারতই ফেভারিট। কিন্তু বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে কী হবে? সৌরভের মতে, ভারতের বোলিং এই মুহূর্তে ভয় ধরিয়ে দেওয়ার মতো। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতেও তারা সেরাটাই দেবে। সেক্ষেত্রে ভারতের ব্যাটাররা যদি ভালো পারফর্ম করতে পারে, তাহলে এবারও সিরিজ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী তিনি।

এদিন সিএবি-র বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ছিল চাঁদের হাট। বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মান পান অনুষ্টুপ মজুমদার। জেন্টলম্যান ক্রিকেটারের পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে অভিষেক পোড়েলকে। জীবনকৃতি সম্মান পান প্রণব রায় ও রুনা বসু। এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে ত্রিমুকুট জিতেছে ভবানীপুর ক্লাব। একই ক্রিকেট মরশুমে সিএবি লিগ, প্রথম ডিভিশন ওয়ানডে খেতাবের পরে জেসি মুখার্জি ট্রফিতেও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা। এদিন ট্রফি তুলে দেওয়া হয় ভবানীপুর ক্লাবের হাতে।