শামি চললেন বেঙ্গালুরু

ফাইল চিত্র

সৈয়দ মুস্তাক আলি ক্রিকেটের গ্রুপের খেলায় বাংলার হয়ে মহম্মদ শামি যেভাবে নিজের পরিচয় তুলে ধরেছিলেন, তাতে সবাই আশা প্রকাশ করেছিলেন, ভারতীয় দলে ডাক পাওয়াটা তাঁর শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু বরোদার কাছে হেরে যাওয়ার পরে বাংলা দলের মহম্মদ শামিকে নিয়ে প্রশ্ন উটতে শুরু করে, তাঁর কি ডাক আসবে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতীয় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য? নির্বাচকরা নজর রেখেছিলেন মহম্মদ শামির উপরে। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন, ব্রিসবেনে তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের আগেই তিনি পৌঁছে যাবেন ভারতীয় দলের ড্রেসিং রুমে। কিন্তু তা হল না।

প্রাথমিকভাবে শোনা যাচ্ছিল টি-টোয়েন্টির পরই শামি অস্ট্রেলিয়া উড়ে যাবেন। কিন্তু আপাতত সেরকম কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। শামি কবে অস্ট্রেলিয়া যাবেন, সেই ব্যাপারে পরিষ্কার করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ধরে নেওয়া যেতেই পারে অস্ট্রেলিয়া সফরে তাঁর যাওয়া সম্ভব হবে না। সেই কারণে অস্ট্রেলিয়ায় নয়, তিনি বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতেই ট্রেনিং করবেন।

চোট কাটিয়ে ফিরে এসে রঞ্জিতে বল করেছেন। তার পর সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলছেন শামি। এমনকী বাংলার হয়ে ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছেন। তবু অস্ট্রেলিয়ায় এখনই পাড়ি দেওয়া হচ্ছে না শামির। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, তিনি টেস্টের দীর্ঘ স্পেলের ধকল সামলাতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্নের সদুত্তর মেলেনি। সেই সঙ্গে উঠে আসছে আরেকটি প্রসঙ্গও। দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে এবং অস্ট্রেলিয়ায় শামির খেলা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন রোহিত। তাঁর এই মন্তব্যে বেশ বিরক্তই হয়েছিলেন শামি।


এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ১৪ ডিসেম্বর থেকে গাব্বায় তৃতীয় টেস্ট শুরু হচ্ছে। ওই টেস্টে যে শামির খেলার কোনও সম্ভাবনাই নেই, বলে দেওয়া যায়। বঙ্গ পেসার অস্ট্রেলিয়ায় গেলেও শেষ দুটো টেস্টে খেলবেন। ভারতীয় বোর্ডে খবর নিয়ে জানা গেল যে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমি থেকে ফিটনেস রিপোর্ট যাবে ভারতীয় টিমের কাছে। এনসিএ-র সবুজ-সঙ্কেত পাঠিয়ে দিলেই, শামিকে ডেকে নেওয়া হবে অস্ট্রেলিয়ায়। ২১ ডিসেম্বর থেকে বিজয় হাজারে ট্রফি শুরু হচ্ছে। শামি অস্ট্রেলিয়ায় না গেলে বাংলার হয়ে খেলবেন সেই প্রতিযোগিতায়। কিন্তু কবে এনসিএ থেকে সবুজ সংকেত পাবেন তারকা পেসার? তা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তবে শামি বেশ হতাশ, তা নিয়ে নতুন করে বলার প্রয়োজন হয় না।