তীব্রবেগে ছুটে চলেছে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিজয়রথ। আর সেই বিজয়রথ থামানাে, অনেকটাই চাপের হয়ে যাচ্ছে, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীবাকি দলগুলাের কাছে। যেভাবে দিল্লি ক্যাপিটালস এগিয়ে চলেছে। সেখানে তাদের প্লে-অফে খেলা প্রায় নিশ্চিত করে ফেলতে আর বেশিদিন সময় লাগবে না।
আর যেভাবে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের ত্রিকেটাররা নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরছে সেখানে তারা যদি এবারে প্রথমবার নিজেদের হাতে খেতাব তুলে নেয় তাহলে খুব একটা ভুল কিছুই হবে না।
যেভাবে শ্রেয়স আইয়রের নেতৃত্নে দিল্লি ক্যাপিটালস দল শেষ দু’বছর ধরে নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরছে সেখানে সেই পারফরমেন্সের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মরুশহরেও এয়ােদশতম আইপিএল প্রতিযোগিতাতেও দিল্লি ক্যাপিটালস দল আপাতত পয়েন্ট টেবলে শীর্ষস্থানে রয়েছে। ছয় ম্যাচে পাঁচটিতে জয় তুলে নিয়ে দশ পয়েন্ট সংগ্রহ করে। আর রবিবার সানডে ক্লাসিকে আইপিএলের আসরে খেলতে নামছে দিল্লি ক্যাপিটালস দল পয়েন্ট টেবলে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলও নিজেদের মুঠোয় খেতাব ধরে রাখার জন্য পুরােপুরি প্রস্তুত হয়ে রয়েছে। গতবালের চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের যাত্রা মরুশহরে চেন্নাইয়ের কাছে হার দিয়ে শুরু করলেও, এখন তলা ছয় ম্যাচে আট পয়েন্ট সংগ্রহ করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। যদি আজ মুম্বইকে দিল্লিকে পরাজিত করে দিতে পারে তাহলে রানরেটের অনুযায়ী সমসংখ্যক পয়েন্ট নিয়ে প্রথমস্থানে উঠে আসতে পারবে।
তবে লড়াইটা খুব একটা সহজ হবে না মুম্বইয়ের কাছে কারণ দিল্লির ত্রিকেটাররা যে ফর্মের মধ্যে রয়েছেন তাদের আটকানােটা একটু চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাবে। ব্যাটিং, বােলিং, ফিল্ডিং তিনটি ডিপার্টমেন্টেই চ্যাম্পিয়নের মতন ভূমিকা পালন করছে দিল্লির ত্রিকেটাররা। তাই ট্রেন্ট বােল্ট, প্যাটিনসন ও জসপ্রীত বুমরাকে আজকে আরাে ভালো পারফরমেন্স করে দেখাতে হবে এবং দলকে জয় এনে দিতে গেলে তাদের ভূমিকা প্রধান সেটা আগাম বলে দেওয়া যায় ।
এদিকে মুম্বইয়ের পেস বােলার জেমস প্যাটিনসন বলেন, “ আমরা খুব ভালাে ছন্দের মধ্যে রয়েছি। আমরা হার দিয়ে প্রতিযােগিতার শুরু করলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরে দ্বিতীয়স্থানে উঠে এসেছি। সেখান থেকে আমরা আরাে উপরের দিকে যাব সেটা আগাম বলে দিতে পারি।
আর আমার দিক দিয়ে বলতে গেলে, আমি নিজের সেরা খেলাটা মেলে ধরার সবসময় চেষ্টা করছি। কারণ বােল্ট ও বুমরা যেভাবে নিজেদের মেলে ধরছে সেখানে আমি দলের একজন নির্ভরযােগ্য বােলার হয়ে সেই কাজটা করতে পারব না। এরকম একটু হিংসে হচ্ছে। তাই নিজের সেরা খেলাটা মেলে ধরার জন্য আমি মুখিয়ে রয়েছি। আর ধারাবাহিকভাবে যদি খেলার সুযোগ পাই তাহলে নিজের সেরা খেলাটাই আমি মেলে ধরব।