বোলারদের বাঁচান: অশ্বিন

নিজস্ব প্রতিনিধি— টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেটে এত রানের বহর দেখতে পাওয়া যায় না৷ কিন্ত্ত ২০ ওভারের খেলায় যদি রানের বন্যা দেখতে হয়, তাহলে আইপিএল ক্রিকেট দেখতে হবে৷ এই কথাটি উঠেছে শুক্রবার কলকাতা নাইটরাইডার্স ও পাঞ্জাব কিংসের খেলার চেহারা দেখে৷ ২০ ওভারে কেকেআর ২৬১ রান করেছে৷ আর তারই জবাবে পাঞ্জাব কিংস ২৬২ রান করে জয়ের হাসি হাসে৷ অর্থাৎ দুই দলের মোট রানসংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৫২৩৷ এই রানের অঙ্কটা দেখে অন্য কথাও সমালোচকদের মুখে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে৷ তাহলে কি বোলারদের দাপট হারিয়ে গেল? এটা অনেকটা আমন্ত্রণী ক্রিকেটের মতো খেলা চলছে আইপিএলে৷ হয়তো সেই কারণেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনের মতো বোলার কাতর আর্জি জানিয়েছেন, বোলারদের দিকে নজর না দিতে পারলে, অস্তিত্বই হারিয়ে ফেলবেন অনেকে৷

এইভাবে যদি বোলারদের উড়িয়ে দিয়ে রানের বন্যা বইয়ে দেন ব্যাটসম্যানরা, তাহলে বোলারদের আর প্রয়োজন থাকবে কিনা, এই প্রশ্ন উঠতেই পারে৷ ভাবতে পারা যায়, ২৫০-র বেশি রান অনেক দলই করেছে৷ তাহলে যে উইকেট তৈরি করা হচ্ছে, সেই উইকেটের চরিত্রটা কী বলা হবে? হয়তো বেশিরভাগ ম্যাচই সমতল পিচ বা পাটা উইকেট দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷ ফলে বোলাররা মার খাচ্ছেন৷ বোলাররা যদি সুবিধা আদায় করে না নিতে পারেন, তাহলে তাঁদের নাম কখনওই নজরে আসবে না৷ বোলারদের অস্তিত্ব হারিয়ে যাবে৷ সেই কারণেই হয়তো রবিচন্দ্রন অশ্বিন বলতে চেষ্টা করছেন, দয়া করে বোলারদের বাঁচান৷ অর্থাৎ যে দল ২৬০ রান করছে সেই দলের লক্ষ্য থাকবে শেষ ২ ওভারে ৯ রান করে চাই৷ এই ভাবনাটাকে ব্যাটসম্যানরা যখন বাস্তবে রূপ দিতে চাইবেন, তখন বোলারদের ভূমিকাটা সবচেয়ে বেশি সক্রিয় হয়৷ কিন্ত্ত সেখানেই যদি তাঁরা মার খান, তাহলে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটসম্যানরা রানের বন্যা বইয়ে দেবেন৷ এটাই স্বাভাবিক৷ সেই কারণেই হয়তো কেকেআরের ফিল সল্ট ও সুনীল নারাইনের ব্যাট থেকে বড় অঙ্কের রান এসেছে৷ আবার পাঞ্জাবের জনি বেয়ারস্টোর ব্যাট থেকে রান এসেছে ১০৬ মাত্র ৪৬ বলে৷ এটা কি ছেলে খেলা হচ্ছে! আবার এও দেখা গেল, প্রভসিমরন সিং এবং শশাঙ্ক সিংও দারুণ ব্যাট করলেন৷ সেই কারণে অশ্বিনের মতো বোলাররা ভাবতে শুরু করেছেন, এইভাবে খেলা চলবে অনেক বোলারই নিভৃতেই চলে যাবেন৷