কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে এখন ফুরফুরে বাতাস বইছে। গত ম্যাচে ইডেনে সান রাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়ে কলকাতার অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানেরা বেশ আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। যে শিবিরে একটা চিন্তা ঘোরাফেরা করছিল-সেই জায়গা থেকে অনেকটাই মুক্তি পেয়েছে দল। তারপরে নাইট দলের কর্ণধার বলিউড তারকা শাহরুখ খান খেলোয়াড়দের প্রশংসায় ভরিয়ে তুলেছেন। যার ফলে সবাই অন্য মেজাজে দুটো দিন উপভোগ করেছেন।
মঙ্গলবার ইডেনের গ্যালারি আবার উত্তাল হয়ে উঠবে রাহানে, নারাইন, রিঙ্কু সিং আর বরুণ চক্রবর্তীদের খেলায়। আসলে উইকেটের চরিত্র বদল হতেই কলকাতার লড়াইটা অন্যরূপ পেয়েছে। তারপরে হায়দরাবাদের ম্যাচে আবার ফর্মে ফিরে এসেছেন ভেঙ্কটেশ নাইয়ার। তাঁর ব্যাট থেকে রান আসাতে জয়টা সহজ হয়েছে। পরপর দুটো ম্যাচে ব্যর্থ হওয়ার পরে সামালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভেঙ্কটেশকে। প্যাট কামিন্সদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে ভেঙ্কটেশ দারুন খেলে নিজেকে প্রকাশ করেছেন। বোলিং কোচ ওটিএস গিবসনও বিশেষ নজরে রেখেছেন ভেঙ্কটেশকে। নেটে বেশ কিছুক্ষণ নেটে প্র্যাকটিশ করেন। রিঙ্কু ও আন্দ্রে রাসেলরাও অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন। আসলে হায়দরাবাদের বিপক্ষে রিঙ্কু ও ভেঙ্কটেসের জুটি যেভাবে ভারতের জয়কে সহজ করে দিয়েছেন-তা ভাবা যায় না।
লখনউ সুপার জায়ান্টের বিপক্ষে মঙ্গলবারের ম্যাচটাকে ঘিরে আগ্রহ বাড়ছে। ঋষভ পন্থের নেতৃত্বে লখনউ দল বড় চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত রয়েছে। লখনউ দল চারটে ম্যাচ খেলে ফেলেছে। দুটো ম্যাচ জিতেছে। আবার দুটো ম্যাচে হার স্বীকার করেছে। কলকাতা দলও ৪টে ম্যাচের মধ্যে ২ টো ম্যাচে জয়ের হাসি হাসতে পেয়েছে। কিন্তু রান রেটে কলকাতা দল লখনউ থেকে একধাপ এগিয়ে রয়েছে। অর্থাৎ লিগ টেবলে কলকাতা পঞ্চম স্থানে রয়েছে আর ষষ্ঠ স্থানে অবস্থান করছে লখলউ দল। তাই পাঁচের সঙ্গে ছয়ের লড়াইটা বেশ হাড্ডাহাড্ডি জায়গায় পৌঁছে যাবে বলে বিশ্বাস লখনউ দলে শার্দুল ঠাকুর আব্দুল দামাস, রবি বিষ্ণোই ও আবেশ খানের মতন বোলার রয়েছেন। তাই কলকাতা দলের ব্যাটসম্যাননেদর অত্যন্ত সতর্ক হয়ে খেলতে হবে। লখনউ দলের নেতা ঋষভ পন্থ নিশ্চয়ই চেষ্টা করবেন ঘুরে দাঁড়াতে। তবে লখনউ দলে মার্করাম ও মার্শকে পুরনো ফর্মে ফিরে আসতেই হবে। মিচেল মার্শ যদি আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে খেলতে পারেন তবে কলকাতাকে চাপের মধ্যে থাকতে হবে।
এদিকে কলকাতা নাইট রাইডার্স দলের কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ একান্তে আলোচনা করেছেন। গত ম্যাচের মতন উইকেট চাইছেন কলকাতা দলের খেলোয়াড়রা। গত ম্যাচে নাইটদের বোলিং বিভাগ যেভাবে প্রতিপক্ষ দলের বিপক্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছিল, ঠিক সেইভাবে লখনউ দলের বিপক্ষে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে চান বোলাররা। আবার এটাও মনে রাখতে হবে লখনউ দলের স্পিন বোলিং খুব একটা খারাপ নয়। কলকাতা দলে মইন আলি, অঙ্গকৃশ রঘুবংশি সুযোগ পেয়ে ভাল খেলার চেষ্টায় কোনও হালকা কোনও মনোভাব নেই। রবিবার অনুশীলনে ঋষভ পন্থরা বেশ সিরিয়াস ছিলেন। আসলে তাঁরা ভাল করে জানেন কলকাতা দলের বিপক্ষে খেলাটা অত্যন্ত মর্যাদার প্রশ্ন থাকে। দর্শকরা সব সময় সেরা খেলা দেখতে চান। তাদের কথা ভেবে ঋষভ পন্থ ও অজিঙ্কা রাহানেরা লড়াকু ও সাহসী ভূমিকা নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে ক্রিকেট যুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন।