অস্ট্রেলিয়ার কাছে যখন ভারত বেশ চাপের মুখে তখন তরুণ ক্রিকেটার নীতিশ কুমার রেড্ডির দারুন শতরান। শতরান করার পারেই উইকেটের সামনে নীতিশ হাঁটু মুড়ে এক অভিনব কায়দায় তা সেলিব্রেশন করলেন। এই দৃশ্য দেখে অনেকেই ‘বাহুবলী’ সিনেমার সঙ্গে মিল খুঁজে পেলেন। কিন্তু নীতিশ নিজে এ কথা স্বীকার করতে চাননি। তিনি বলেন, ভারতের জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে এই অভিনব উদযাপন। এমন কথা জানিয়ে বলেন, শতরান করবার পরে ব্যাট মাটিতে সোজা করে রেখে তার উপরে হেলমেট রাখি। তারপরে প্রণাম করি হাত তুলে। গ্যালারিতে নীতিশের বাবা খেলা দেখছিলেন। বাবার চোখ দিয়ে জলের ধারা নেমে আসছিল বিদেশের মাটিতে ছেলের শতরান দেখে আনন্দে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন নীতিশের বাবা।
নীতিশ বলেন, ‘ভারতের জাতীয় পতাকা আমার গর্ব। তাই জাতীয় পতাকাকে সম্মান জানাতে পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাই স্মরণীয় মুহূর্তটিকে ধরে রাখতে চেয়েছি। বাবার চোখে জল দেখেছি। আমার স্বপ্ন ছিল বাবাকে গর্বিত করা।’ নীতিশের এই সাফল্য অবশ্যই তরুণ প্রতিভার কাছে বড় প্রেরণা। অন্যরাও ভালো খেলবার জন্যে অনুপ্রাণিত হবেন। লড়াকু ও সংগ্রামী মনোভাবকে কীভাবে প্রকাশ করতে হয় তার উদাহরণ এখন নীতিশ কুমার রেড্ডি। বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচে নীতিশ ভারতীয় দলে টাই পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। শেষ মুহূর্তে শুভমান গিলকে সরিয়ে নীতিশকে প্রথম একাদশে রাখা হয়। অবশ্য চলতি মরশুমে ভারতীয় দলের জার্সি গায়ে দিয়েছেন নীতিশ। গত তিনটি টেস্ট ম্যাচে নীতিশ ভালোই খেলেছেন। নির্ভরতা দিয়েছেন দলকে। কিন্তু চতুর্থ টেস্টে নীতিশকে কেন বাদ দেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল তার কোনও স্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি ভারতীয় শিবির থেকে। সেই নীতিশ ক্রিকেট মাঠে জবাব দিয়ে নিজেকে প্রমাণ করতে পেরেছেন। নীতিশ যখন নজরে চলে এসেছেন, তখন অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়াকে বেশ চিন্তার মধ্যে থাকতে হবে জাতীয় দলে ফিরে আসার ব্যাপারে। তবে হার্দিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নীতিশ রেড্ডিকে।