টেস্ট ক্রিকেটে দ্রুততম ১০০ রানের রেকর্ড

ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচে প্রথম দিনে ৩৫ ওভার বল করার পরেই বৃষ্টিতে তা ভেস্তে যায়। তারপরের দু’দিন অঝোরে বৃষ্টি হওয়ায় ও মাঠ ভিজে থাকার কারণে একটা বলও উইকেটে পরেনি। তবে সোমবার রোদ্দুর হওয়াতে চতুর্থদিনের খেলা শুরু হওয়ার পরেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা চমক দেখালেন। এমনকি টেস্টের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ রানের রেকর্ডও গড়লেন রোহিতর শর্মারা।

মাত্র ১০.১ ওভারে ১০০ রান! তাও টেস্ট ক্রিকেটে। খানিক অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এই কাণ্ডটিই ঘটিয়ে ফেলল টিম ইন্ডিয়া। বৃষ্টিবিঘ্নিত কানপুরে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ এবং ১০০ রান করল ভারত। তাতে বোঝা যায় বাংলাদেশের বোলারদের কোনও পাত্তাই দেননি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।

ভারতীয় দল ৫০ রানে পৌঁছে যায় ৩ ওভার শেষ হওয়ার আগেই। আর ১০০ রানে পৌঁছে যায় ১০.১ ওভারে। এর আগেও অবশ্য টেস্টে দ্রুততম শতরান গড়ার রেকর্ড টিম ইন্ডিয়ার দখলেই ছিল। গত বছর পোর্ট অফ স্পেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ১২.২ বলে ১০০ করে ভারত। নিজেদেরই নজির ভেঙে দিল ভারত। এর আগে দ্রুততম ৫০ রানের রেকর্ডটি ছিল ইংল্যান্ডের দখলে। চলতি বছরই নটিংহ্যামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ২৬ বলে ৫০ করে ইংল্যান্ড।


আড়াই দিনে টেস্ট জিততে হলে অভাবনীয় ক্রিকেট খেলতেই হবে ভারতকে। বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট করার পর ইনিংসের শুরুটা সেই অতিমানবীয় ধাঁচেই ব্যাট করতে থাকেন রোহিত শর্মা এবং যশস্বী জয়সওয়াল। প্রথম ওভার থেকে চওড়া ব্যাটে ঝড় তুলতে শুরু করেন দুই ওপেনার। প্রথম ওভারে ওঠে ১২ রান। দ্বিতীয় ওভারেই রোহিতের ব্যাটে দুটি ছক্কা। সেই ওভারে ওঠে ১৭ রান। তৃতীয় ওভারে এল ২২ রান। ৩ ওভারে ৫১। এর পর রোহিত ১১ বলে ২৩ রান করে আউট হয়ে গেলেও বেধড়ক মার মেরেছেন শুভমান গিল এবং যশস্বী জয়সওয়াল। ভারতের ১০০ রান পূরণ হয় মাত্র ১০ ওভার ১ বলে। জয়সওয়াল করেন ৭১ বলে ৮২ রান।

শুভমান গিল করেন ৩৬ বলে ৩৯ রান। দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন বিরাট কোহলি এবং কে এল রাহুল। কোহলি ৩৫ বলে ৪৭ রান করেন। রাহুল করেন ৪৩ বলে ৪৮ রান। নিয়মিত উইকেট খোয়ালেও ভারতের রানের গতি কমেনি। শেষ পর্যন্ত মাত্র ৩৪ ওভার ৪ বল খেলে ৯ উইকেটে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ভারতীয় দল এখন এগিয়ে রয়েছে ৫২ রানে। শেষ দিনে ভারতীয় দল কোনও অঘটন ঘটাতে পারে কিনা তার জন্য অপেক্ষায় থাকবেন গ্রিন পার্কের ক্রিকেট ভক্তরা। ক্রিকেটের ব্যাকরণে সব সময়ই খেলার চরিত্র কিভাবে বদলে যায় তা নিয়ে আগাম কোনও ভাবনা করা যায় না।