উত্তরাখণ্ডে ৩৮তম জাতীয় গেমসে বাংলার প্রতিনিধিরা দুরন্ত ফলাফল করেছেন। গত জাতীয় গেমসে বাংলার স্থান ছিল ১৮তম। সেই জায়গা থেকে ১০ ধাপ উপরে উঠে এসে বাংলা জায়গা করে নিয়্ছে অষ্টম স্থানে। এবারের এই প্রতিযোগিতায় পদকজয়ী প্রতিনিধিদের বৃহস্পতিবার কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের পক্ষ থেকে বিশেষ সংবর্ধনা জানানো হয়। ক্রীড়াবিদরা দারুণ খুশি। বিশেষ করে ক্রীড়া সাংবাদিকদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়াটা অবশ্যই পদকজয়ীদের কাছে বড় প্রাপ্তি বলে মনে করছেন। ক্লাবের সভাপতি সুভেন রাহা বলেন, বাংলার ছেলেমেয়েরা ধীরে ধীরে ভালো পদক্ষেপ রাখার চেষ্টা করছেন।
তাঁরা নিজেরাও বলছেন, বাংলার জন্যই আমরা সেরা পারফরম্যান্স করতে চাই। হয়তো কোনও কোনও সংস্থার অভিযোগ থাকলেও মনে রাখতে হবে, কে কোনদিকে রয়েছে, তার বিচার করা নয়, বাংলার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করাটাই প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই অনেকেই বড় সাফল্য এনেছেন। তাঁদের সম্মানিত করার অর্থই আরও অনুপ্রাণিত করা। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়া প্রশাসকরাও।
বৃষ্টিভেজা বিকেলবেলায় ক্লাব তাঁবুতে ভিড় উপচে পড়েছিল। উপস্থিত ছিলেন সিএবি’র সভাপতি স্নেহাশিস গাঙ্গুলি, আইএফএ’র সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়, সহসভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, বিওএ’র প্রাক্তন সভাপতি স্বপন ব্যানার্জি, বিওএ’র সচিব জহর দাস, কোষাধ্যক্ষ কমল মৈত্র সহ শেফ দ্য মিশন বিশ্বরূপ দে সহ অন্যরা। সংবর্ধনার শেষে জিমন্যাস্ট প্রণতি দাস আক্ষেপ করে বলেন, ওয়ার্ল্ড কাপে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
এটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে অবশ্যই আমার নামটা আসা উচিত ছিল। জানি না, কী কারণে সেই জায়গা থেকে ছিটকে দেওয়া হল। প্রণতির কথায় স্পষ্ট হল, যে ইভেন্টে অংশই নেননি, সেই জিমন্যাস্টের নাম ওয়ার্ল্ড কাপে অংশ নেওয়ার জন্য অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেল। এই ঘটনা জানার পরেই শেফ দ্য মিশন বিশ্বরূপ দে বলেন, অবশ্যই ব্যাপারটি মেনে নেওয়া যায় না। কেন বাদ গেল প্রণতির নাম, তা অবশ্যই জানার চেষ্টা করব।