সকলের নজর কেড়ে নিয়েছেন একটি ম্যাচ খেলেই। আর অধিনায়কের দায়িত্ব তিনি এর আগে অনেকবারই পালন করেছেন। সেটা নিয়ে তাঁকে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়নি। এবং সাফল্য পেয়েছেন। অধিনায়ক হিসাবে যেমন দলকে জিতিয়েছেন তেমনই দলের একজন নির্ভরযােগ্য ব্যাটসম্যান হিসাবে রানও করেছেন। আর প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পরাজিত হওয়ার পর যেভাবে অজিঙ্কা রাহানের নেতৃত্বে মেলবাের্নে ভারতীয় দল কামব্যাক করল এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ব্যাট হাতে মে শতাধিক রান করে কাজের কাজটা করে দেখালেন তা দেখে রাহানের প্রতি সকলেই মুগ্ধ হয়ে পড়েছেন।
আর এটা হওয়ার কথা দলের তারকার অভাব তিনি বুঝতে দেননি। আর অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররাও বুঝে গিয়েছেন এই সিরিজ জেতাটা তাদের কাছে কঠিন করে তুলতে পারে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। তাই তাদের হালকাভাবে না নিয়ে নিজেদের সেরা খেলাটা মেলে ধরতে না পারলে গতবারের লজ্জা আবারও ফিরে আসতে পারে তার আগাম ইঙ্গিত মেলবাের্নেই পেয়ে গিয়েছেন।
এদিকে রাহানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ইয়ান চ্যাপেল। তিনি বলেন, রাহানে একজন স্মার্ট, সাহসী ক্রিকেটার। তার শান্ত মাথায় যে পরিকল্পনাগুলাে ঘােরাফেরা করে সেটা দিয়েই সে বাজিমাত করে ফেলে। জন্মগতই সে অধিনায়ক হওয়ার দাবি রাখে। সত্যিই আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। একটা কঠিন পরিস্থিতি থেকে কীভাবে মাথা ঠান্ডা রেখে নিজের সেরা খেলাটা মেলে ধরে কাজের কাজটা করে গেল। একজন অধিনায়কের দায়িত্ব রাহানে যেভাবে করল ঠিক তেমনই মাথা ঠান্ডা রেখে দলের একজন নির্ভরযােগ্য ব্যাটসম্যান হওয়ার কাজটাও করল।
সত্যিই আমি রাহানের সম্বন্ধে যত বলৰ ততই কম বলা হবে। ওকে আগাগােড়াই দেখেছি মাথা ঠান্ডা রেখে কাজের কাজটা করে যায়, আর এ জন্যই রাহানে এত সাফল্য পেয়েছে। আমি বিরাটের সঙ্গে রাহানের কোনও তুলনা টেনে আনতে চাই না। কারণ দু’জন ক্রিকেটারের চরিত্র আলাদা। আর এখানে কারাের সঙ্গে কারাের তুলনা করা উচিত না।
দু’জনেই বর্তমান প্রজন্মের ক্রিকেটে সেরা ক্রিকেটার। আর একজন ভালো ক্রিকেটার হওয়ার জন্য যা যা প্রয়ােজন এদের দু’জনের মধ্যে সেগুলাে ভরপুর রয়েছে। আগামিদিনে এই সিরিজটি আরাে বেশি আকর্ষণীয় হতে চলেছে। আমি তাে এখন থেকে মুখিয়ে রয়েছি। আগামি দুটি ম্যাচের জন্য সেখানে আরো কি চমক দেখাতে চলেছে। ভারতীয় ক্রিকেটাররা এবং অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটাররা কি ছক নিয়ে মাঠে নামে সেটাও দেখার। আশা করি বছরের শুরুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইটা বেশ উপভােগ করতে পারবে।