ইন্দোনেশিয়া ওপেনে মহিলা সিঙ্গেলসে শেষ চারে হেরে গেলেন ভারতের তারকা ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু। দুবারের অলিম্পিকে পদক জয়ী ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পিভি সিন্ধু থাইল্যান্ডের রাতচানোক ইস্তাননের কাছে হেরে গেলেন।
ইন্দোনেশিয়ার ওপেনের এক নম্বর কোর্টে সিন্ধুকে প্রথম গেমে জয় তুলে নিলেও পরবর্তী দুটি গেমে তিনি দাঁড়াতেই পারলেন না।
প্রথম গেমে পিভি সিন্ধু দারুন লড়াই করে থাইল্যান্ডের রাতচানোককে ২১-১৫ পয়েন্টে হারিয়ে দেন। পরবর্তী দুটি গেমে সিন্ধু দাঁড়াতেই পারলেন না। তিনি হারলেন ৯-২১ ও ১৪-২১ পয়েন্টে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধির কাছে।
এই ম্যাচটা গড়িয়ে ছিল ৫৪ মিনিট। থাইল্যান্ডের এই খেলোয়াড়ের কাছে অতীতেও বার বার বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলেন পিভি সিন্ধু এবং হারও মানতে হয়েছে। পিভি সিন্ধু মোট ১১ বার মুখোমুখি হয়েছিলেন রাতচানোকের সঙ্গে।
জয়ের নিরিখে রাতচানোকই এগিয়ে রয়েছেন। সিন্ধু ৪ বার জিততে পেরেছেন। ইন্দোনেশিয়া ওপেনে তৃতীয় বাছাই খেলোয়াড় পিভি সিন্ধু সেমিফাইনাল খেলায় শুরুটা ভালোই করেছিলেন।
নিজের ছন্দেও খেলছিলেন এমনকি একটা সময় ৮-৩ ব্যবধানে থাইল্যান্ডের প্রতিনিধিকে পিছনে ফেলে দিয়েছিলেন। সিন্ধুর দূরন্ত খেলার কাছে কোনও ভাবেই ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না থাইল্যান্ডের রাতচানোক।
তবে পরবর্তী সময়ে রাতচানোক খেলায় ফিরে আসেন কিন্তু প্রথম গেমে নিজের জয় তুলে নিতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৫ ২১ পয়েন্টে তাঁকে হারতে হয় পিভি সিন্ধুর কাছে। দ্বিতীয় গেমে দূরন্ত ভূমিকা পালন করতে থাকেন থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি রাতচানোক ইস্তানন।
আর তাঁকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। তৃতীয় গেমে আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিয়ে একের পর এক পয়েন্ট তুলতে থাকেন রাতচানোক ইস্তানন। পিভি সিন্ধু মানসিকভাবে পিছিয়ে পড়াতে আর খেলায় ঘুরে দাঁড়াতে ব্যর্থ হন।
ইন্দোনেশিয়া ওপেনে মহিলা সিঙ্গেলসের ফাইনালে চতুর্থ বাছাই খেলোয়াড় দক্ষিণ কোরিয়ার আন সে ইয়ংয়ের সঙ্গে খেলকেন থাইল্যান্ডের রাতচানোক ইস্তানন।