• facebook
  • twitter
Friday, 22 November, 2024

মায়াঙ্কের কাছে হেরে গেল পাঞ্জাব

প্রথম জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস দিল্লি— ওভার প্রতি দশ রান করতে পারলে পাঞ্জাব কিংস ম্যাচ জিততে পারবে৷ এই অঙ্কে লখনউয়ের কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকার কথা৷ কিন্ত্ত পাঞ্জাবের ওপেনিং জুটি অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো এমন ইনিংস খেলে দিলেন যে ম্যাচ প্রায় হারতে বসেছিল লখনউ৷ ১১.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০২ রান বোর্ডে দেখার পর

প্রথম জয় পেল লখনউ সুপার জায়ান্টস

দিল্লি— ওভার প্রতি দশ রান করতে পারলে পাঞ্জাব কিংস ম্যাচ জিততে পারবে৷ এই অঙ্কে লখনউয়ের কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকার কথা৷ কিন্ত্ত পাঞ্জাবের ওপেনিং জুটি অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান ও জনি বেয়ারস্টো এমন ইনিংস খেলে দিলেন যে ম্যাচ প্রায় হারতে বসেছিল লখনউ৷ ১১.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০২ রান বোর্ডে দেখার পর কে আর লখনউকে নিয়ে বাজি লাগাবার সাহস দেখাবে৷ কিন্ত্ত প্রথম টাইম আউটের পর খেলা ঘুরে শুরু করল৷ লখনউ দলের বোলিং মর্ণি মরকেল মাঠে এসে বোলারদের বলেন, জানিয় প্রচন্ড গরমে তোমাদের কতটা কষ্ট হচ্ছে৷ তাই গতির দিকে না তাকিয়ে লাইন ও লেংথে বেশি জোর দাও৷ তাহলেই সাফল্য আসবে৷ সেই জায়গা থেকে লখনউকে টেনে তুললেন ২২ বছরের দিল্লির ক্রিকেটার মায়াঙ্ক প্রভু যাদব৷ বলা যায় যে তাঁর দাপটের কাছে গুটিয়ে গেল পাঞ্জাব দলের ব জারিজুরি৷ ডান হাতি পেসার মায়ঙ্ক একে একে তিনজন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে দিয়ে লখনউকে জয়ের সরণীতে ফিরিয়ে আনলেন৷ তারপর পিছন ফিরে আর তাকাতে হয়নি৷ ম্যাচের সেরা মায়াঙ্কের সাফল্যের পথে দৌডে় মহসিন দুটি উইকেট নিতে পাঞ্জাবের লড়াই শেষ হয়ে গেল৷ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৮ করে ম্যাচ ২১ রানে হারলেও তার অনেক আগেই ঘন্টা বেজে গিয়েছিল৷ শেষ ওভারে লিভিংস্টোন ১৭ রান নিয়ে হারের ব্যবধান কমালেও তাতে কী আর এসে গেল৷ তাই শিখর (৭০) ও বেয়ারস্টোর (৪২) পার্টনারশিপ কাজে এল না৷

এই ম্যাচে পুরো ফিট না থাকলেও দলের প্রয়োজনে কে এল রাহুল ইমপ্যাক্ট ক্রিকেটার হিসেবে দলে থাকলেন৷ নিকোলাস পুরান দলকে নেতৃত্ব দিয়ে আইপিএলে প্রথম জয় এনে দিলেন৷ ডিকক (৫৪) পুরান (৪২) ও ক্রুনাল পান্ডিয়া (৪৩) ব্যাট হাতে দলকে ভরসা দিতে রান প্রায় দুশোর কাছে নিয়ে যায় লখনউ৷ তার উপর শেষ পাঁচ ওভারে ৫৩ রান জুডে় কাজটা সুবিধা করে দেন পান্ডিয়া৷ না হলে আরও আগে লখনউয়ের ইনিংস শেষ হয়ে যেত৷ এই দুশোর কাছে চলে যাওয়া লখনউ এখানেই চাপে ফেলে দিয়েছিল পাঞ্জাবকে৷ কিন্ত্ত ওপেনিং জুটিতে একশোর উপর রান করেও শিখররা ম্যাচ ধরতে পারলেন না৷ এটাই আফসোস পাঞ্জাবের কাছে৷ ওপেনিং জুটির পর দলের আর কোনও ব্যাটসম্যান বড় রান করতে না পারায় ম্যাচ জয় কঠিন হয়ে পড়ল৷ লিভিংস্টোন যখন ব্যাট ঘুরিয়ে ২৮ রানে অপরাজিত থাকলেন, তখন ম্যাচ প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল৷ পুরো ফিট না থাকায় তিনি দলের চার নম্বরে আসতে পারেননি৷ কিন্ত্ত দলের প্রয়োজনে শেষদিকে মাঠে এলেও কাজের কাজ কিছু হল না৷ লখনউ ম্যাচ জিতে প্রথম সাফল্যের মুখ দেখল৷