‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে মিতালি ও নীরজের ভূয়সী প্রশংসায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি

আমাদের গোটা দেশের গর্ব নীরজ চোপড়া ও মিতালি রাজ। এদের দু’জনের সম্বন্ধে যত বেশি বলব ততই কম হবে।

কারণ এঁরা দু’জন এমন মহান কৃতিত্বের অধিকারী সেখানে আমার এদের বিষয়ে আলাদা করে বলার কিছু ভাষা নেই।

ভারতীয় ক্রীড়াজগতে এরা দুই স্তম্ভ সেটা আমি নিশ্চিতভাবে বলে দিতে পারি এদের ছাড়া আমাদের ভারতীয় ক্রীড়াজগত অসম্পন্ন সেটাও সঠিক। প্রসঙ্গত প্রথমে আমি বলতে চাই আমাদের সোনার ছেলে নীরজ চোপড়ার কথা।


আমাদের দেশের গর্ব নীরজ অলিম্পিকের আসরে আমাদের সোনার ছেলে সোনা জয় করার পর ফিনল্যান্ডে অনুষ্ঠিত জ্যাভলিন থ্রো-য়ে নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে দিয়ে রুপোর পদক জয় করেছে। আবারও আমাদের দেশের সম্মানকে শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।

অলিম্পিকে সোনা জয়ের পর একটা প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে রুপোর পদক জয়ের পর আবারও একটা প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সোনার পদক জয়। সত্যিই অসাধারণ। আমি নিজেই ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কি ভাষায় প্রশংসা করব।

একটা কথা বলতে পারি তোমরা এভাবে নিজেদের খেলাটা চালিয়ে যাও যাতে ভবিষ্যতে দেশের সম্মান তোমার হাত ধরে শিখরে পৌঁছাক। দ্বিতীয়ত, মিতালি রাজ। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের স্তম্ভ ছিল। ও যেভাবে নিজের খেলা মেলে ধরেছিল দেশের হয়ে তাতে আমরা সকলে মুগ্ধ। মিতালি হচ্ছে আমাদের সকলের কাছে অনুপ্রেরণা। কারণ ওর মতন মেয়ে খুব কম দেখতে পাবেন আপনারা। ওর থেকে অনেক কিছু শেখার রয়েছে। ভারতীয় মহিলা ক্রিকেটের একটা স্তম্ভ ছিল। তবে সকলেরই একটা সময় আসে খেলাকে ছেড়ে দেওয়ার আর মিতালিও সেই কাজটা করেছে।

কিন্তু খেলা ছাড়ার আগে শুধু আমাদের দেশের ক্রিকেটের হয়ে নয় গোটা বিশ্ব ক্রিকেটে যে ছাপটা ও রেখে গেছে সেখানে মিতালিকে ওই জায়গা থেকে সরানো মোটেই সম্ভব নয়।

মিতালিকে দেখে আমাদের তরুণ প্রজন্ম অনুপ্রেরণা পাবে এবং নিজের কেরিয়ার ঠিক করতে পারবে। মিতালি একজন অসাধারণ ক্রিকেটার ছিল সেটা নিঃসন্দেহে স্বীকার করে নিতে হবে।

কিন্তু ও যে সকলের কাছে একটা বিশেষ অনুপ্রেরণা সেটা আমি নিশ্চিতভাবে বলে দিতে পারি। আসন্ন ভবিষ্যতের জন্য মিতালিকে আমি শুভেচ্ছা জানাতে চাই।

মিতালি নিজের দ্বিতীয় ইনিংসটাতেও সফল হোক সেটাই ভগবানের কাছে প্রার্থনা করব’, এমন কথাই রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।