অভিমন্যু আঙুলে চোট পাওয়ায় বাংলা শিবিরে চাপ বাড়ল

ফাইল চিত্র

অভিমন্যু ঈশ্বরণ ক্লাব ক্রিকেট খেলতে গিয়ে আঙুলে চোট পেলেন। অভিমন্যুর এই চোট বাংলা শিবিরে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। খেলা নিয়ে সংশয় নয়, রঞ্জি ট্রফির প্রথম পর্বে হয়তো তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব হবে না। অভিমন্যু ভারতীয় দলের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনও ম্যাচেই তাঁর খেলবার জন্য ডাক আসেনি। দেশে ফিরে আসার পরে বিজয় হাজারে ট্রফিতে বাংলার হয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু রঞ্জি ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব হবে না বলে মনে করা হচ্ছে। চিকিৎসকরা ইতিমেধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন কমপক্ষে দু’সপ্তাহ বিশ্রামে থাকতে হবে অভিমন্যুকে। কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্লা বেশ চিন্তায় পড়ে গেছেন। বাংলা দলের ভরসা বলতে প্রথম যে নামটা উঠে আসে তিনি হলেন অভিমন্যু ঈশ্বরণ।

একখানে উল্লেখ করা যেতে পারে গত কয়েক বছরে বাংলার হয়ে ধারাবাহিক ভাবে রান করছেন ওপেনার অভিমন্যু। ডাক পাচ্ছেন ভারতীয় দলেও। কিন্তু এখনও দেশের জার্সিতে অভিষেক হয়নি। অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম ম্যাচে রোহিত শর্মা না থাকায় মনে করা হয়েছিল অভিমন্যুকে সুযোগ দেওয়া হবে। কিন্তু লোকেশ রাহুল এবং যশস্বী জয়সওয়ালকে ওপেন করায় ভারত। খেলানো হয় দেবদত্ত পাড়িক্কলকে। সুযোগ পাননি অভিমন্যু। পুরো অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সঙ্গে থাকলেও একটি ম্যাচেও খেলা হয়নি। ফিরে এসে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াল চোট। যে কারণে কিছুটা সমস্যায় বাংলা দলও।

লাল বলের ক্রিকেটে অভিমন্যুর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে না পাওয়া বড় ক্ষতি বাংলা দলের। অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার বললেন, ‘আঙুলে চোট লেগেছে অভিমন্যুর। আগামী ম্যাচে খেলা হচ্ছে না। বাংলা নক আউটে উঠলে হয়তো পাওয়া যাবে অভিমন্যুকে’।


আগামী ২৩ জানুয়ারি থেকে শুরু রঞ্জি ট্রফি ক্রিকেট ম্যাচ। কল্যাণীতে খেলবে বাংলা। প্রতিপক্ষ দল হরিয়ানা। পাঁচ ম্যাচ শেষে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে বাংলা সি গ্রুপে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। গ্রুপ শীর্ষে রয়েছে হরিয়ানা। তারা পাঁচ ম্যাচে পেয়েছে ২০ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কেরল। তারা পাঁচ ম্যাচ খেলে পেয়েছে ১৮ পয়েন্ট। বাংলা যদি রঞ্জির নক আউটে উঠতে পারে, তা হলে অভিমন্যুকে পাওয়া যেতে পারে। গ্রুপে বাংলার শেষ ম্যাচ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচ ৩০ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে। বাংলার ক্রিকেটাররা আত্মবিশ্বাসে ভরপূর ম্যাচ জেতার লক্ষ্যে।