প্যারা অলিম্পিক্সে ভারতের প্রথম পদক এল শুটিংয়ে। শুধু তাই নয়, অভিযান শুরু হল একই ইভেন্টে জোড়া পদক দিয়ে। মহিলাদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এসএইচ-১ ইভেন্টে সোনা জিতলেন অবনী কেকারা। এই ইভেন্টে গত টোকিও প্যারা অলিম্পিক্স গেমসেও সোনা জিতেছিলেন অবনী। আর এই ইভেন্টে এবারে ব্রোঞ্জ জিতলেন মোনা আগরওয়াল। ফলে প্রত্যাশা মতো ভারতীয় প্রতিযোগীরা লড়াই করে চলেছেন পদকের জন্য। ফাইনাল রাউন্ডে অবনীর স্কোর ছিল ২৪৯.৭ পয়েন্ট। দ্বিতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ কোরিয়া।
তবে অল্পের জন্য রুপোর পদক হাতছাড়া করলেন ভারতের মোনা আগরওয়াল। তিনি ২২৮.৭ পয়েন্ট করে তৃতীয় স্থানে ব্রোঞ্জ পদক পান। এদিন শুটিংয়ে প্রথম থেকে ভারতের প্রতিযোগীরা দারুণ ফর্ম করতে থাকে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, অলিম্পিক্সে ভারতের প্রতিযোগীরা দারুণ ফল করে শুটিংয়ে পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন। এই মুহূর্তে অবনী ১০ মিটার এয়ার রাইফেল এসএইচ-১ ইভেন্টে বাছাই পর্বে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে চূড়ান্ত পর্বে পৌঁছে গিয়েছেন। আর মোনা বাছাই পর্বে পঞ্চম স্থান পেয়ে ফাইনালে অংশ নেওয়ার ছাড়পত্র পেয়েছেন।
আবার ১০০ মিটার দৌড়ে ভারতের প্রীতি পাল ইতিহাস গড়লেন। মহিলাদের টি-৩৫ বিভাগে ১০০ মিটার দৌড়ে ব্রোঞ্জ জিতলেন তিনি। ১০০ মিটার দৌড়ে এই প্রথম ভারতের কোনও প্রতিযোগী পদক জয়ের কৃতিত্ব দেখালেন। উত্তরপ্রদেশের মেয়ে প্রীতি দৌড় শেষ করেন ১৪.২১ সেকেন্ডে। এই ইভেন্টে সোনা জিতেছেন চিনের জিয়া ঝৌ। রুপোর পদকও চিনের কিয়ানকিয়ান গুয়োর হাতে শোভা পেয়েছে। অবশ্য এর আগে টি-৫৩ বিভাগে রুপোর পদক পেয়েছিলেন ভারতের দীপা মালিক। এটা অবস্য ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিক্স গেমসে শটপুটে। সেই তালিকায় এবারে নাম চলে এল প্রীতি পলের।
প্রীতিকে লড়াই করতে হয় অনেক প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে। জন্মানোর ছ’দিন বাদে শরীরের নিম্নাংশ প্লাস্টার করতে হয়। যার ফলে তাঁর পা দুর্বল হয়ে পড়ে। অনেক চিকিৎসা করেও সেইভাবে শক্তি পাননি। তবে প্রীতি তাতেও দমে থাকেননি। এমনকি, প্যারিসে অংশ নেওয়ার জন্য বেশ আর্থিক বাধাবিপত্তিতে পড়তে হয়েছিল। তখন তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছিলেন প্যারা অলিম্পিক্স অ্যাথলিট ফাতিমা খাতুন। তাঁরই জন্য প্যারা অলিম্পিক্সে আসা এবং ব্রোঞ্জ পদক জেতা।