• facebook
  • twitter
Thursday, 14 November, 2024

পাকিস্তানের হুঙ্কার, একটা ম্যাচও দেশের বাইরে যাবে না

বিসিসিআইয়ের বক্তব্য জানার পর আইসিসি কর্তারা ভারতের ম্যাচগুলির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে।

অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর পাকিস্তান ক্রিকেট দল।

ইসলামাবাদ— চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিয়ে বিতর্ক চলছে তো চলছেই। তারই মধ্যে পাকিস্তান হুঙ্কার দিয়ে বসল। ভারত জানিয়ে দিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তারা পাকিস্তানে খেলতে যাবে না। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আইসিসি’কে চিঠি যেমন দিয়েছে, এবং বলেছে পাকিস্তানে কেন ভারত খেলতে আসবে না, তার কারণ দর্শাতে হবে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডকে। আবার পাকিস্তান সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, প্রতিযোগিতা কোনওভাবেই অন্যত্র সরানো যাবে না। একটা ম্যাচও অন্য দেশে হবে না।

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের এক আধিকারিক বলেন, ‘সরকার আমাদের জানিয়ে দিয়েছে যে একটা ম্যাচও পাকিস্তানের বাইরে হবে না। এই সিদ্ধান্তে আমাদের অনড় থাকতে হবে। আইসিসি আমাদের জানিয়েছে যে ভারত খেলতে আসতে চাইছে না। আমরাও কারণ দেখাতে চিঠি লিখেছি। আমরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক। এই দেশেই খেলা হবে। একটা খেলাও অন্য দেশে হবে না।’

ভারতের অবস্থানে ক্ষুব্ধ পাকিস্তান। সে দেশের আরও এক ক্রিকেট কর্তা বলেন, ‘গত এশিয়া কাপের মতো হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা আয়োজন করব না আমরা। অনেক আগে থেকেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরাই আয়োজন করব।’ এই বিষয়ে আইসিসিকে পাল্টা চাপ দেওয়ার রাস্তা বেছে নিয়েছেন পাক ক্রিকেট কর্তারা। প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে যাওয়ার পথও খোলা রাখছেন তাঁরা।

বিসিসিআইয়ের বক্তব্য জানার পর আইসিসি কর্তারা ভারতের ম্যাচগুলির জন্য বিকল্প ব্যবস্থার পরিকল্পনা শুরু করেছেন। সংযুক্ত আরব আমিরশাহিকে প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। যদিও এ ব্যাপারে সরকারি ঘোষণা হয়নি। তাঁরা আপাতত যুযুধান দু’দেশের বোর্ড কর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু পাকিস্তান সরকার স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, এ ক্ষেত্রে হাইব্রিড মডেলে খেলা হবে না।

এশিয়া কাপেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সে বার ভারতের দাবি মেনে হাইব্রিড মডেলে প্রতিযোগিতা হয়েছিল। আবার একই ঘটনা ঘটছে। লতিফ জানিয়েছেন, প্রত্যেক বার ভারতের কথাকেই মান্যতা দিচ্ছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এটা চলতে পারে না। কোনও দেশই চায় না খেলাধুলোকে রাজনৈতিক কোনও কারণ দেখিয়ে পিছনে ফেলে দিতে।