এখন শুধু জয়ের অপেক্ষায় সময় গুনছে ভারত

পার্থে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলার একটি বিশেষ মুহূর্তে। ছবি-- সংবাদ সংস্থা

শুধু এখন জয়ের অপেক্ষায় ভারত। প্রথম টেস্টের অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরার সাহসী ভূমিকাকে তারিফ করতে হবে। জয় ছিনিয়ে আনবার জন্যে বিরাট কোহলির শতরান হতেই বুমরা ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস ডিক্লেয়ার করে দেন ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানের মাথায়। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্সকে। কামিন্সদের ৫৩৪ রান করতে হবে জয়ের লক্ষ্যমাত্রায়। রবিবার তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়া যশপ্রীত বুমরার জাদু বলে ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১২ রান করেছে। অস্ট্রেলিয়া পিছিয়ে রয়েছে ৫৩১ রনে। ভারত দুই ইনিংস মিলিয়ে মোট ৫৩৩ রান। ভারত প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করে সবাই আউট হয়ে যায়। আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রান করে। আর অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ১০৪ রানে সবাই আউট হয়ে যায়। ইতিমধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২ রান করে হারের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। তাই চতুর্থ দিনে ভারতীয় বোলাররা যত তাড়াতাড়ি অস্ট্রেলিয়ার উইকেট তুলে নিতে পারবে ততই জয় সহজ হয়ে যাবে।

ভারতের কাছে অস্ট্রেলিয়া সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে খেলবার ছাড়পত্র পাওয়ার জন্যে কমপক্ষে চারটি টেস্ট ম্যাচ জিততেই হবে পাঁচটি খেলার মধ্যে। তাই ভারত চ্যালেঞ্জিং মুড নিয়ে লড়াই করবে এটাই স্বাভাবিক। ভারত পার্থের মাঠে প্রথম টেস্ট ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রান করার পরে সবাই হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের দ্রুতগামী বোলার যশপ্রীত বুমরাও মহম্মদ সিরাজের আগুনে বলে অস্ট্রেলিয়া শিবিরে ধস নেমে যায়। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয়ে যায় মাত্র ১০৪ রানে। ৪৬ রানে এগিয়ে থেকে ভারত দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে অত্যন্ত সচেতন ভাবে। দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল ও লোকেশ রাহুল দুরন্ত ভূমিকা নিয়ে ভারতের স্কোরবোর্ডকে উজ্জ্বল করে তোলেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারেদর সেইভাবে পাত্তাই দেননি। জয়সওয়ালের ব্যাট থেকে আসে ১৬১ রান। তিনি ২৯৭ বলে ১৬১ রান করার ফাঁকে ১৫টি বাউন্ডারি আর ৩টি ছক্কা মারেন। জয়সওয়াল যেভাবে ব্যাট করেন তাতে বোঝাই গিয়েছিল প্রতিপক্ষ দলের বোলাররা তাদের ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন। পাশাপাশি লোকেশ রাহুল আবার স্বমহিমায় ফিরে আসেন। সব সমালোচনাকে উড়িয়ে দিয়ে রাহুল ৭৭ রান করে নিজের পরিচয় তুলে ধরেন। তিনি ১৭৬ বল খেলেন।

দেবদত্ত পারিক্কল ব্যাট থেকে ২৫ রান। তারপরে বিরাট কোহলির ব্যাট নতুন করে ঝলসে ওঠে। কোহলির সাহসী ভূমিকাকে প্রশংসা না করে নীরব থাকা যাবে না। কোহলি অনবদ্য ইনিংস খেললেন। তিনি একটা বাউন্ডারি মেরে শতরান করার কৃতিত্ব দেখান। বিরাট শতরান করে অপরাজিত থাকেন। ঋষভ পন্থ রান পেলেও, ওয়াশিংটন সুন্দরের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। নীতিশ কুমার রেড্ডি দারুনভাবে সহযোগিতা করেন বিরাট কোহলির শতরান করার ক্ষেত্রে। নীতিশ ৩৮ রান করে নটআউট থাকেন। ভারত দ্বিতীয় ইনিংসে ডিক্লিয়ার করে ৬ উইকেটে ৪৮৭ রানের মাথায়।


অস্ট্রেলিয়া ৫৩৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতকীয় ইনিংস শুরু করে। এবং বিপর্যয় ডেকে আনে। ভারতের দুরন্ত বোলার যশপ্রীত বুমরার কাছে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানরা হার মানতে থাকেন। নাথান আর লাবুসেনের উইকেট ভেঙে দেন বুমরা। আর অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের উইকেটটি তুলে নেন সিরাজ। অস্ট্রেলিয়াকে জয়ের জন্য দুদিনে ৫২২ রান করতে হবে। আর ভারতকে জয়ের হাসি হাসতে গেলে ৭টি উইকেট তুলে নিতে হবে।