বৃষ্টিতে কানপুরের মাঠে দ্বিতীয় দিনে একটা বলও গড়াল না

কানপুরের গ্রিন পার্কের উইকেটে একটাও বল গড়াল না। সকাল থেকেই বৃষ্টি আর বৃষ্টি। কখনও টিপটিপ করে বৃষ্টি হলেও বেশি সময়টা অঝোরে নেমেছে জল আকাশ ভেঙে। আম্পায়াররা ছাতা মাথায় ক্রিকেটের পিচকে পর্যবেক্ষণ করার পরেও কোনও সুরাহা দেখতে পাননি খেলার ব্যাপারে। তপ্রথম দিনের ৩ উইকেটে ১০৭ রান করে বাংলাদেশ। ভারতের বোলাররা ভালো চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বৃষ্টিভেজা মাঠে। মাত্র ৩৫ ওভার বল হয়েছে। দ্বিতীয় দিনে সবাই আশঙ্কায় ছিলেন বৃষ্টির ব্যাপারে। সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সারাদিন বৃষ্টির মধ্যেই সময় কাটাতে হল। কোনওরকম আশা দেখতে পাওয়া গেল না খেলায়। দুই দলের খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে গল্পগুজব করে হোটেলের দিকে পা বাড়ান।

বৃষ্টি না থামায় দর্শকরাও মাঠে আসেননি। হয়তো আগের থেকেই তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন, শনিবারের খেলা কোনওভাবেই সম্ভব নয়। বিরতি পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়েছিল। আবার আম্পায়াররা মাঠে নেমে পর্যবেক্ষণ করলেন। খারাপ আলো। এই আলোতে ক্রিকেট হয় না। তাই এদিনের মতো খেলা হবে না বলে জানিয়ে দেন।

এদিকে রবিবার খেলা হবে কিনা, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। আবহাওয়া অফিস থেকে বলা হয়েছে, আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সেই কারণে দুই দলের খেলোয়াড়রাও কোনওভাবেই বুঝে উঠতে পারছেন না, মাঠে নামতে পারবেন কিনা। তবে, বিকেলের দিকে আকাশ পরিষ্কার হবে। বৃষ্টি নাও হতে পারে। তাই মধ্যাহ্নভোজের পরে কী অবস্থায় দাঁড়ায় সেটাও দেখার বিষয়। কিন্তু সোম ও মঙ্গলবার বৃষ্টি হবে না বলে জানা গেছে। সেই কারণেই অনেকেই ভাবছেন দু’দিন বাদে আবার খেলা শুরু হতে পারে। কিন্তু প্রশ্ন থাকছে মাত্র দু’দিনে টেস্ট খেলার মীমাংসা হতে পারে কি? অবশ্যই অসম্ভব। আবার ক্রিকেট মাঠে অসম্ভব বলে শব্দটা সবসময় কথা বলে যায় না। কানপুরে যদি বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট ড্র হয়ে যায়, তা হলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ভারত পাবে চার পয়েন্ট। সম্ভাব্য ১৩২ পয়েন্টের মধ্যে (১টি টেস্টে ১২ পয়েন্ট সর্বোচ্চ পাওয়া যায়) ৯০ পয়েন্ট হবে ভারতের। পয়েন্ট শতাংশ হবে ৬৮.১৮। তা হলেও রোহিতরা অস্ট্রেলিয়ার উপরেই থাকবেন।


এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, যদি ভারত দুরন্ত ভূমিকা পালন করে কিছু অঘটন ঘটাতে পারে কিনা, সেটাই দেখার বিষয়।