একজন বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক অন্যজন বিশ্ব ফুটবলে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন। দুজনের কেউই নেই। লিয়োনেল মেসি এবং ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর মতো মহাতারকাকে বাদ দিয়েই তৈরি হল বিশ্বের সেরা একাদশ। ৭ বছর পর বর্ষসেরা একাদশে নেই কিংবদন্তী এই দুই ফুটবলার।
এর আগে ২৬ জন ফুটবলার ছিলেন সেরা একাদশে ঢোকার লড়াইয়ে। সেই তালিকায় ছিলেন মেসি এবং রোনাল্ডো। মেসি খেলেন আমেরিকার ক্লাব ইন্টার মায়ামির হয়ে। তালিকার বাকি ২৪ জনই ইংল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন এবং ফ্রান্সের ক্লাবে খেলা ফুটবলার। ইটালি বা লাতিন আমেরিকার ক্লাবে খেলা কোনও ফুটবলার ২৪ জনের তালিকায় ছিলেন না। সেরা একাদশে যদিও মাত্র তিনটি ক্লাবের ফুটবলার রয়েছেন। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ছ’জন, ম্যাঞ্চেস্টার সিটি থেকে চার জন এবং লিভারপুল থেকে এক জন রয়েছেন বিশ্বের সেরা একাদশে।
২০০৬ সালে প্রথমবার সেরা একাদশে ঢুকেছিলেন মেসি। তার পর থেকে প্রতিবছরই এই তালিকায় ছিলেন। অবশেষে ১৭ বছর পর ২০২৪-এ এসে বাদ পড়লেন তিনি। রোনাল্ডো অবশ্য ২০২৩-এও সেরা একাদশে ছিলেন না। তার আগে টানা ১৬ বছর এই তালিকায় ছিলেন তিনি। তবে লিভারপুলের হয়ে নিয়মিত গোল করলেও বাদ পড়েছেন মহম্মদ সালাহ।
বর্ষসেরা একাদশে দাপট রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদের ফুটবলারদের। ডিফেন্সে কার্ভাহাল ও রুডিগার, মাঝমাঠে টোনি ক্রুস, জুড বেলিংহ্যাম, আক্রমণে কিলিয়ান এমবাপে ও ভিনিসিয়াস জুনিয়ররা জায়গা করে নিয়েছেন। এঁদের মধ্যে ক্রুস অবশ্য অবসর নিয়েছেন।
ম্যাঞ্চেস্টার সিটি থেকে আছেন ৪ জন। একাদশে গোলরক্ষকের দায়িত্ব সামলাবেন এডেরসন, মাঝমাঠে ডি’ব্রুইনে ও রদ্রি এবং আক্রমণে আর্লিং হালান্ড। এছাড়া ডিফেন্সে আছেন লিভারপুলের ভার্জিল ভ্যান ডাইক।
গোলরক্ষক
এডেরসন (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি)
ডিফেন্ডার
দানি কার্ভাহাল (রিয়াল মাদ্রিদ), ভির্জিল ভান ডিহিক (লিভারপুল) এবং অ্যান্তোনিয়ো রুডিগার (রিয়াল মাদ্রিদ)
মিডফিল্ডার
জুড বেলিংহ্যাম (রিয়াল মাদ্রিদ), কেভিন ডি ব্রুইন (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), টনি ক্রুস (রিয়াল মাদ্রিদ) এবং রদ্রি (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি)
স্ট্রাইকার
এর্লিং হালান্ড (ম্যাঞ্চেস্টার সিটি), কিলিয়ান এমবাপে (রিয়াল মাদ্রিদ) এবং ভিনিসিয়স জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)