ম্যাচ সেরার পুরস্কার বিরাটের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নারা­ইন

বেঙ্গালুরু– ক্রিকেট মাঠে এমনটা কিন্ত্ত সচরাচর দেখা যায় না৷ যা দেখা গেল শুক্রবার রাতে বেঙ্গালুরুর মাঠে৷ আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৪০ রানে ১ উইকেটের পাশাপাশি ২২ বল খেলে ৪৭ রান৷ এমন পারফরম্যান্সের জন্য কেকেআরের সুনীল নারাইনকে ম্যাচের সেরা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়৷ মঞ্চে ডেকে তাঁর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়৷ এরপরই নারাইন সবাইকে চমকে দিলেন৷ তিনি বলেন, সেরার পুরস্কার পেতে সকলের ভাল লাগে৷ আমারও লাগছে৷

তবে এই পুরস্কার যদি বিরাট কোহলিকে দেওয়া হত তা হলে আমি হতাশ হতাম না৷ কারন আমি মনে করি ওর পারফরম্যান্স আমার থেকেও ভাল ছিল৷ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বিরাাট শেষপর্যন্ত নটআউট থাকল৷ ৫৯ বল খেলে ৮৩ রানে অপরাজিত থাকল৷ রানের দিকে তাকিয়ে ওর পারফরম্যান্সকে বিচার করলে ভুল হবে৷ শুরুতে বল ব্যাটসম্যানদের দিকে ঠিকভাবে আসছিল না৷ স্ট্রোক খেলা কঠিন ছিল৷ সেই উইকেটে নিজেকে ধরে রেখে ইনিংসকে টেনে নিয়ে গিয়েছে বিরাট৷ আমরা পরে ব্যাট করতে নেমে দেখি আগের থেকে উইকেট বেশ সহজ হয়ে গিয়েছে৷ স্ট্রোক খেলা সহজ হয়ে গিয়েছিল৷ তাই আমার থেকে ওর পারফরম্যান্সকে এগিয়ে রাখতে হবে৷ আমার এই পুরস্কার ওর সঙ্গে ভাগ করে নিতে চাই৷

বিরাট পর্ব মিটে যাওয়ার পর নারাইন বলেন, একজন স্পিনারের পাওয়ার প্লে-তে বল করা কঠিন৷ কারন ৩০ গজ বৃত্তের ভিতর নয়জন ক্রিকেটারকে রেখে বল করে ব্যাটসম্যানকে আটকে রাখা সহজ কাজ নয়৷এখানে মার খাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে৷ আমারও হয়েছে৷ পরে যখন বল করতে এসেছি, তখন ফিল্ডারদের মাঠে ছডি়য়ে দিতে পেরেছি৷ শেষ তিন ওভারে রান খুব একটা বেশি দিইনি৷ শুরুতে উইকেট স্লো থাকলেও ব্যাটসম্যানরা, বিশেএষ করে বিরাট আমাকে মেরে দেয়৷ পরে নিজেকে ধরে নিতে পেরেছি৷ আর আমাদের ব্যাটিংয়ের কথা তো আগেই বলেছি৷ উইকেটে বল ভাল আসছিল৷ তাই পাওয়ার প্লে-তে আরসিবি বোলিংকে আক্রমন করতে অসুবিধা হয়ন৷ আমাদের প্ল্যান ছিল, পাওয়ার প্লে-তে যত বেশি সম্ভব রান করা৷ সেটাই আমরা করেছি৷ ৬ ওভারে আমাদের রান ছিল ৮৫৷ ১৮৩ রান তাড়া করতে নেমে এই জায়গায় দলকে নিয়ে যেতে পারলে বাকিদের কাজ সহজ হয়ে যায়৷ নিডল অর্ডাররা খোলা মনে ব্যাট করতে পারে৷ সেটাই হয়েছে৷ ইডেনের পর বেঙ্গালুরুতে জয় পেলাম৷ শুরুটা আমরা বেশ ভাল করতে পারলাম৷ এর থেকে ভাল আর কি হতে পারে৷