মুশিরের শতরানে মান বাঁচল ভারতীয় ’বি’ দলের

দলীপ ট্রফিতে শতরান করলেন মুম্বইয়ের তরুণ ক্রিকেটার মুশির খান। তিনি সুযোগ পেতেই নিজেকে প্রমাণ করে দিলেন আগামী দিনে ভারতীয় দলে খেলার মতো সাহস রাখেন। তিনি শুধু শতরানই করলেন না, দলকে লজ্জার হার থেকেও বাঁচালেন। যে দলে ভারতের প্রথম সারির ক্রিকেটার যশস্বী জয়সওয়াল, ঋষভ পন্থের সঙ্গে সরফরাজ খান ও অভিমনু্য ঈশ্বরণরা পুরোপুরি ব্যর্থ হলেন, তখন কেউ ভাবতেই পারেননি, দলীপ ট্রফি ক্রিকেটে মুম্বই দলের অবস্থান কী হবে। মুশির খান শুধু শতরান করলেন, না দিনের শেষে ১০৫ রানে অপরাজিত থাকলেন। বৃহস্পতিবার মুম্বই দল ৭ উইকেটে ২০২ রান করে।

টস জিতে ভারত এ দলের অধিনায়ক শুভমন গিল বল করার সিদ্ধান্ত নেন। খলিল আহমেদ ও আকাশদীপরা বল হাতে ভারত বি দলকে বেশ চাপে ফেলে দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ান মুশির। তাঁর দলের দুই ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল এবং অধিনায়ক অভিমন্যু ঈশ্বরন মাত্র ৩৩ রানের জুটি গড়েন। যশস্বী করেন ৩০ রান ও অভিমন্যু ১৩ রানে আউট হয়ে যান।

৯৪ রানে ৭ উইকেট হারায় ভারত বি। মনে করা হচ্ছিল অল্প রানেই শেষ হয়ে যাবে দল। একই দলে দুই ভাই সরফরাজ় এবং মুশির খেলছেন। দাদা সরফরাজ করেন ৯ রান। পন্থ লাল বলের ক্রিকেটে ফিরে করেন ৭ রান। কোনও রানই করতে পারেননি নীতিশ কুমার রেড্ডি এবং ওয়াশিংটন সুন্দর। ৭ উইকেট হারানোর পরে দলকে অক্সিজেন দেন মুশির। ২২৭ বলে ১০৫ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। মুশির শতরান করতেই সরফরাজ়কে দেখা যায় গ্যালারি থেকে হাততালি দিতে। তাঁর ভাই শুধু যে শতরান করলেন তাই নয়, চাপের মুখে দলকে কীভাবে বাঁচানো যায়, তা দেখিয়ে দিলেন। সেই আনন্দে তখন সরফরাজ়ের মুখে হাসির রেখা দেখা গেল।


মুশির শতরান করার ফাঁকে ১০টি চার এবং দু’টি ছক্কা মেরেছেন। বিপক্ষে থাকা কুলদীপ যাদব, আকাশ দীপ ও খলিল আহমেদের মতো বোলারদের কীভাবে মোকাবিলা করা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন অনভিজ্ঞ মুশির। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টেস্ট দল ঘোষণার আগে নির্বাচকদের ভাবনায় মুশির নিজেকে প্রকাশ করলেন।

শুধু মুশিরের প্রশংসা করলেই হবে না, কৃতিত্ব দিতে হবে নবদীপ সাইনিকে। এ বারের দলীপে তাঁর খেলার কথাই ছিল না। কিন্তু মহম্মদ সিরাজের চোট থাকায় সাইনিকে দলে নেওয়া হয়। সেই সাইনি ব্যাট হাতে ৭৪টি বল খেললেন। ২৯ রানে অপরাজিত রইলেন তিনিও। শুক্রবার মুশির এবং সাইনির উপর নির্ভর করবে ভারত বি দল আর কত রান তুলতে পারবে।

বল হাতে নজর কাড়লেন বাংলার আকাশ। তিনি ১৮ ওভারে ২৮ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি উইকেট পান। আর দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন খলিল এবং আবেশ খানও। তবে কুলদীপ ১৪ ওভার বল করে ৫০ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি। শিবম দুবে এবং তানুস কোটিয়ান উইকেট পাননি।