এক কথায় বলা যায় মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস অপ্রতিরোধ্য। সে ঘরের মাঠে হোক বা ভিনরাজ্যের মাঠে। সবুজ-মেরুন ফুটবলারদের প্রতিরোধ গড়ে তোলার মতো প্রতিপক্ষ দল এই মুহূর্তে বড় জায়গা করে নিতে পারছে না। ওড়িশা এফসি’র সঙ্গে ড্র করলেও হায়দরাবাদ এবং নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেড দলের বিপক্ষে জয়টা ফুটবলারদের কাছে আত্মবিশ্বাস আরও বড় করে দেখা দিয়েছে। তাই গোয়া এফসি’র বিরুদ্ধে শুক্রবার খেলতে নামারআগে সবাই টগবগ করে ফুটছেন।
তবে গোয়ার বিপক্ষে মাঠে নামতে পারছেন না চোট পাওয়া ফুটবলার গ্রেগ স্টুয়ার্ট। স্টুয়ার্ট দলের সঙ্গে থাকার অর্থ মনোবল বাড়ানো। দলের কোচ হোসে মোলিনা বলেছেন, গোয়ার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলবে। তবে হ্যাঁ, নিজের মাঠে খেলবে গোয়া। সমর্থকরা তাদের উৎসাহিত করবেন। তবুও বিশ্বাস করি আমাদের ফুটবলাররা আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে সেরা খেলা উপহার দিয়ে জয় ছিয়ে নেবেন। গত ম্যাচে কেরল ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে লড়াকু মানসিকতা তুঙ্গে রয়েছে। যদি গোয়াকে হারানো যায়, তাহলে টানা পাঁচটি ম্যাচ জেতা সম্ভব হবে। তবে ২০২১ ও ২০২৩ সালে মোহনবাগান আইএসএল ফুটবলে টানা পাঁচটি ম্যাচ জিতেছিল।
কোচ হোসে মোলিনা আরও বলেন, টানা দু’বার লিগ-শিল্ড জয়ের লক্ষ্যে আমরা পরিশ্রম করে চলেছি। লম্বা মরশুম খেলতে হবে। এই মুহূর্তে গোয়া ছাড়া অন্য্ কোনও কথা ভাবতে রাজি নই। তবে ফুটবলাররা যেভাবে মাঠে নিজেদের তুলে ধরছেন, তার জন্য প্রশংসা তোলা থাকবে। তাই গোয়ার সঙ্গে উত্তেজক ম্যাচ দেখার জন্য অপেক্ষা করছি। চলতি মরশুমে মোহনবাগান ২২টি গোল করেছে। হজম করতে হয়েছে ১০টি গোল। মোহনবাগানের লক্ষ্য গোল করা আর গোল না খাওয়া। আমাদের দলের ফুটবলাররা প্রত্যেকেই পরিশ্রম করতে জানে। তাই প্রথম ১১ জন বা রিজার্ভ বেঞ্চের ফুটবলারদের অন্য চোখে দেখা হয় না। অনেকেই দ্বিতীয় পর্বে খেলতে নেমে খেলার চেহারা বদলে দিতে জানেন। পরিবর্ত ফুটবলাররা দলকে জিতিয়ে দিয়েছে তারও প্রমাণ রয়েছে। বলতে চাই খারাপ খেলা নয়, ভালো খেলে জিততে চাই।
পুরনো দলের বিপক্ষে এবার খেলতে নামবেন সবুজ-মেরুন জার্সিতে লিস্টন কোলাসো। গত মরশুমে ভালো ফর্মে না থাকলেও, এবারে দারুণ ছন্দে খেলছেন। গোল করার জন্যে সবসময় মুখিয়ে থাকেন। যদি কোলাসো গোল করতে পারেন, তাহলে তাঁর কাছে বড় প্রাপ্তি হবে। তবে গোয়া দলের ফুটবলাররা চাইবেন ঘরের মাঠে জয় তুলে নিতে। তাই গোয়ার কোচ গোপন ছক তৈরি করবেন ম্যাচটা নিজেদের হাতের মুঠোয় রেখে দিতে। বাংলার পরে ফুটবলের শহর বলতে গোয়াকে চিহ্নিত করা হয়। তাই ফুটবল সমর্থকরা মোহনবাগান ও গোয়ার খেলা দেখার জন্য মাঠে ছুটে আসবেন। দুই দলের লড়াই উচ্চমার্গে পৌঁছবে, তা নিয়ে নতুন করে বলার প্রয়োজন হবে না। দু’দলের কোচের মগজাস্ত্র কী কথা বলবে তা মাঠেই প্রকাশ পাবে।