সবুজ-মেরুন ব্রিগেড বলতেই এখন শুধুই জয়। প্রথমে অনুর্ধ্ব-১৫ মোহনবাগান চ্যাম্পিয়ন। তারপরে আইএসএল ফুটবলে মোহনবাগানের জয়ের তরী ভেসেই চলেছে। আর এবারে অনুর্ধ্ব-১৭ মোহনবাগান দল চ্যাম্পিয়ন হল। বলতেই পারা যায়, পরপর তিনটি ডার্বি ম্যাচে মোহনবাগানের জয়ের হ্যাটট্রিক হল। মোহনবাগান ১-০ গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ডার্বি ম্যাচে বাজিমাত করল।
বুধবার মোহনবাগান মাঠে অনুর্ধ্ব-১৭ আইলিগ ফুটবলের চ্যাম্পিয়নশিপের লড়াইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল। ছোটদের খেলা হলেও উৎসাহের কোনও অভাব ছিল না। বেশকিছু দর্শক গ্যালারিতে ভিড় করেছিলেন মোহনবাগানের ছোটদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য। ফুটবলাররা অনুপ্রাণিত হয়ে দুরন্ত ফুটবল খেলে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই পাল্টা আক্রমণে ইস্টবেঙ্গল চাপ সৃষ্টি করেছিল মোহনবাগান শিবিরে। কিন্তু সেই চাপে মোহনবাগান ভীত হয়নি। সবুজ-মেরুনের ছোটরা আসল লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গলকে পরাস্ত করে খেতাব তুলে নিলেন। গত মরশুমে মোহনবাগানের ছোটরা ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে খেতাব তুলে নিয়েছিল। খেলার প্রথমার্ধে কোনও পক্ষই গোল করতে না পারলেও ইস্টবেঙ্গল দু’টি সহজ সুযোগ নষ্ট করে। মোহনবাগানও গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে ব্যর্থ হয়েছে।
দ্বিতীয় পর্বে মোহনবগান আক্রমণে গতি বাড়িয়ে ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের রক্ষণভাগের ফুটবলাররা সেই আক্রমণকে প্রতিহত করতে ভুল করেনি। খেলার ৭৯ মিনিটের মাথায় কর্নার থেকে আসা বলে মোহনবাগানের এক ফুটবলার জটলার মধ্যে হেড করেন। সেই বলটি চলে আসে আদিত্য মণ্ডলের কাছে। আদিত্য গোলমুখে জোরালো শট নেয়। কিন্তু সেই শটটি ইস্টবেঙ্গলের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে তা গোলের জালে জড়িয়ে যায়। পিছিয়ে থাকা ইস্টবেঙ্গল গোল পরিশোধ করার জন্য চেষ্টা করলেও গোল আসেনি। বরঞ্চ খেলার বাকি সময়টা রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করে মোহনবাগান। আদিত্য গোল করার পরে যেভাবে ইস্টবেঙ্গলের সমর্থকদের দিকে ছুটে গিয়ে এমন ভাবে প্রকাশ করল, তা ভাবা যায় না। মোহনবাগানের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরবর্তী সময়ে রাজদীপ পাল।
গুয়াহাটিতে আইএসএল ফুটবলে যেভাবে ডার্বি ম্যাচে জেমি ম্যাকলারেনের গোলে মোহনবাগান জয় পায় ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে, ঠিক সেইভাবে এদিন মোহনবাগানের ছোটরাও জয় তুলে নিয়েছিল। তবে গত ১১ জানুয়ারি, অনুর্ধ্ব ১৫ ফুটবল ডার্বিতে প্রথম গোল করে ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু তা শেষ রক্ষা করতে পারেনি। মোহনবাগান ২-১ গোলে ওই ডার্বি ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছিল। এদিনই মোহনবাগান দিবস উদযাপিত হওয়ার সময় ছোটদের খেদাব জয়ের খবরে খুশি হয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত।