লিগ-শিল্ড জয়ের লক্ষ্যে মোহনবাগান উজ্জ্বল হয়ে উঠতে চায়

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে রবিবাসরীয় সন্ধ্যার আলো ঝলমল করে উঠবে সবুজ-মেরুন সমর্থকদের উল্লাসে। মোহনবাগান হয়তো এদিনই লিগ-শিল্ড জয়ের সম্মানটা তুলেনিতে পারবে জয়ের মধ্যে দিয়ে। মোহনবাগানের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। এদিকে জানা গিয়েছে, ওড়িশা দলের সবচেয়ে দামি ফুটবলার জনি কাউকো কর্মকর্তাদের না জানিয়ে শিবির ছেড়ে চলে গিয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে ওড়িশা দল কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তার প্রধান কারণ, যাঁকে নির্ভর করে ওড়িশা দলের আক্রমণ গড়ে ওঠে, তিনি দলে না থাকায় অবশ্যই চাপে থাকতে হবে তাঁদের।

অন্যদিকে মোহনবাগানের ফুটবলাররা একেবারে খোলামনে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছেন। ধারাবাহিক জয়ের রথকে আরও এগিয়ে নেওয়ার জন্য ওড়িশার বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তাঁরা। কোনওভাবেই হালকা চালে খেলার কোনও জায়গা নেই। আলবার্তো থেকে জেমি ম্যাকলারেন গোল করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন। এই ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পেলেই মোহনবাগান ২২ ম্যাচ শেষে ৫২ পয়েন্টে গিয়ে দাঁড়াবে। গোলা যদি চারটি ম্যাচও জেতে, তাহলে তাদের সর্বোচ্চ পয়েন্ট গিয়ে দাঁড়াবে ৫১। সেই কারণে লিগ-শিল্ড জয়ের লক্ষ্যে বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে মোহনবাগান। মোহনবাগানের ফুটবলাররা প্রত্যেকেই ওড়িশার বিরুদ্ধে দুরন্ত ম্যাচ খেলতে চাইছেন। রক্ষণভাগের শুভাশিস বসু থেকে শুরু করে ম্যাকলারেনদের একটাই ফোকাস, জয়। কোনওভাবেই প্রতিপক্ষ দলকে আক্রমণে সুযোগ দেওয়া নয়। মনবীর সিং ও লিস্টন কোলাসোরাও গোল করার জন্য সবরকম প্রয়াস করবেন।

কোচ হোসে মোলিনা বলেছেন, এটা মনে রাখতে হবে, ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচটা কিন্তু অন্য মর্যাদায় দেখতে হবে। যে কোনও পরিস্থিতিতে ওড়িশা দল ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে। সেই কারণেই প্রথম থেকেই প্রতিপক্ষ দলের আক্রমণকে কীভাবে প্রতিহত করা যায়, তার জন্য রক্ষণভাগকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনও রকম জায়গা দেওয়া চলবে না। আক্রমণের উৎসতেই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে হবে। আবার উল্টোদিকে সবুজ-মেরুন ব্রিগেড ফুটবল রণক্ষেত্রে প্রতিপক্ষকে আঘাত করার জন্য সবসময় সংগ্রামী ভূমিকা নেবে। সমর্থকদের প্রত্যাশা এবং স্বপ্নকে কীভাবে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায়, সেটাই এখন দেখার বিষয়। মোহনবাগান ক্লাবের সঙ্গে ওড়িশা দলের খেলা দেখার জন্য সমর্থকদের মধ্যে দারুণ উৎসাহ লক্ষ্য করা গেছে শনিবার সন্ধ্যায় ক্লাব তাঁবুতে। টিকিটের চাহিদাও বেড়েছে। সমর্থকরা টিকিটের জন্য বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। হয়তো সবাইকে সন্তুষ্ট করা যাচ্ছে না। তবুও দেখা গেল, কর্মকর্তারা তাদের হাতে কিছু টিকিট তুলে দিচ্ছেন। রবিবার প্রচুর সমর্থক মাঠে যাবেন, তা নিয়ে বলার কিছু নেই। সমর্থকরা চাইছেন, লিগ-শিল্ড জয়ের মধ্যে দিয়ে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে।