‘সব ম্যাচই যে জিততে হবে, এমন কোনও কথা ব্যাকরণে লেখা নেই। তবে, জেতার জন্য মাঠে নামা, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কোনও কোনও খেলায় অঘটন ঘটে যেতেই পারে। তাই নিয়ে হতাশ হওয়ার কোনও কারণ নেই।’ এই কথা বললেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টসের কোচ হোসে মোলিনা। তবে তিনি দলের পারফরম্যান্সে একদমই খুশি নন। আগামী সোমবার সেমিফাইনাল ম্যাচের দ্বিতীয় লেগে মোহনবাগানকে বড় ব্যবধানে জিততে হবে। সেই কারণে প্রস্তুতিটা অন্যভাবে নিতে হবে। ঘরের মাঠ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণ। নিশ্চয়ই বাড়তি সুবিধা থাকবে। এখানকার সমর্থকরা পুরো দলটাকে উৎসাহিত করবেন। সাহস দেবেন। লড়াই করার মতো মানসিকতা তৈরি করতে পাশে থাকবেন। তাহলে মোহনবাগানের জয় সহজ হবে।
কোচ মোলিনা বলেন, দলের বেশ কয়েকজন ফুটবলার চোটের কারণে বাইরে রয়েছেন। এটা কোনও অজুহাত নয়। খেলার মধ্যে চোটআঘাত থাকবেই। কিন্তু আমরা প্রতিপক্ষ দলের কাছে হার স্বীকার করলাম, এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। প্রতিপক্ষ জামশেদপুর এফসি ভালো খেলেছে। দ্বিতীয় গোলটা এসেছে নিজেদের ভুলে। যে ম্যাচটা ১-১ গোলে শেষ হতে পারত, সেই ম্যাচে হেরে যাওয়াটা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। তাই পরের ম্যাচে জামশেদপুরকে দু’গোলের ব্যবধানে হারাতেই হবে। তবে চাপের মধ্যেই খেলতে হবে। জেতার জন্য প্রত্যেককেই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। আশা করা যায়, আমরা ফাইনালে খেলব। কোচ আরও বলেন, খেলার প্রথমার্ধে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের ছেলেদের পায়ে বেশিক্ষণ বল ছিল। কিন্তু বল থাকলে তো হবে না, গোল করতে হবে। সেখানে গোলের সুযোগ পেয়েও গোল থেকে বঞ্চিত হতে হয়েছে। দ্বিতীয়ার্ধে গোল করার মতো সুযোগ তৈরি হলেও গোল হয়নি। কিন্তু পাল্টা আক্রমণে দ্বিতীয় পর্বের সংযুক্ত সময়ে সাহসী ফুটবল খেলল জামশেদপুর এবং গোলও পেয়ে গেল।
আগামী ম্যাচে আপুইয়া ও মনবীর সিংকে পেয়ে যাবেন কোচ মোলিনা। নিশ্চয়ই লিগ-শিল্ড জয়ী কোচ তাঁর পরিকল্পনার রূপরেখাটা একটু অন্যরকম করবেন বলে বিশ্বাস। আবার জামশেদপুর এফসি’র কোচ খালিদ জামাল নতুন করে অঙ্ক কষবেন, কীভাবে মোহনবাগানকে রুখে দেওয়া যায়। দলে অবশ্যই অ্যাডভেন্টেজ রয়েছে। খোলা মনে খেলার একটা চেষ্টা থাকবে জামশেদপুরের ফুটবলারদের। যদি মাঠে মোহনবাগানের সমর্থকরা পুরো গ্যালারি ভরিয়ে দিতে পরেন, তাহলে আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়ে ফুটবলাররা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করবেন।