দলের অষ্টম ম্যাচেও জেতার অঙ্কে এগিয়ে থাকতে চান কোচ মোলিনা

আইএসএল ফুটবলে চলতি বছরে মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে খেলতে নামছে কেরল ব্লাস্টার্সের বিপক্ষে। এই মুহুর্তে কেরল দল ভালো ফর্মে নেই। তাই বলে প্রতিপক্ষ দলকে কোনওভাবেই হালকা চালে দেখবার কথা ভাবছেন না সবুজ মেরুন কোচ হোসে মোলিনা। কোচ মোলিনা বলেন, অনেক সময় পচা শামুকেও পা কেটে যায় তাই সতর্ক থাকতে প্রতিটা সময়ে। মনে রাখতে হবে প্রতিটা ম্যাচই হয় বেশ কঠিন। যে কোনও চ্যালেঞ্জকে গ্রহণ করতে হয় নিজেদের সাহসী ভূমিকার মধ্যে দিয়ে। আমাদের পাখির চোখ ঘরে তিন পয়েন্ট আনা। মোহনবাগান ওড়িশা এফসির সঙ্গে ড্র করার পরে পর পর তিনটে ম্যাচে জয় পেয়েছে। সেই ধারাবাহিকাতা ধরে রাখবার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবেন মোহনবাগানের ফুটবলাররা।

অনুশীলনের শেষে দেখা গেল মোহনবাগানের ড্রেসিংরুমে খোলা হাওয়া বইছে। খেলোয়াড়রা নিজেদের মধ্যে হাসি ঠাট্টায় মজে রয়েছেন। তাঁরা যে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর তা নতুন করে বলবার প্রয়োজন নেই। কোচ মোলিনার কথায় উঠে এসেছে খেলোয়াড়রা যে ভাবে প্রতিপক্ষ দলের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা নিয়ে টানা সাতটা ম্যাচ খেলে চলেছেন তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে কেরলের বিরুদ্ধেও আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামবে। সবারই অঙ্গীকার জয় তুলে আনতেই হবে। তবে শুক্রবার সবাই অনুশীলন করলেও মাঝমাঠের নির্ভরযোগ্য ফুটবলার গ্রেগ স্টুয়ার্ট অনুশীলন করলেন না। তবে দিমিত্রিয়াসরা বেশ গা ঘামিয়েছেন। দলে ফিরছেন শুভাশিস বসু এবং আলবার্তো। নিঃসন্দেহে দলের শক্তি বাড়ছে তবুও কোচ অত্যন্ত সচেতন থাকছেন ঘরের মাঠে কেরলের বিরুদ্ধে কিভাবে লড়াই করতে হবে সেই অঙ্ক কষতে। গত ম্যাচে আলবার্তো ও শুভাশিস না থাকলেও কোচ রিজার্ভ বেঞ্চের খেলোয়াড়দের খেলিয়ে জয় পেয়েছেন। তাই প্রত্যেক খেলোয়াড়ের উপরে তাঁর আত্মবিশ্বাস রয়েছে। দলের স্বার্থে তাঁরা প্রাণ উজাড় করে দেবেন। দীপেন্দু বিশ্বাস ও আশিকরা ভালো ফর্মে রয়েছেন। সাহাল আব্দুল সামাদ দলের হয়ে সেরা খেলা উপহার দেবার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন। এই মুহূর্তে মোহনবাগান লিগ টেবলে শীর্ষে রয়েছে। এই জায়গাকে ধরে রাখবার জন্য কোচ সব ফুটবলারদের অনুপ্রাণিত করেছেন সাহসী ভূমিকা নিয়ে খেলবার জন্য।

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন সাতের দশকে মোহনবাগান দলে যেমন মানস ভট্টাচার্য ও বিদেশ জুটি ছিলেন তেমনি মনবীর সিং ও জেমি ম্যাকলারেনকে মনে করা হচ্ছে। তারা গোলের মধ্যে রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবে এই দুই অস্ত্রকে আক্রমণে ব্যবহার করে গোল পেতে চাইছেন। অন্যদিকে কেরলের দুই স্ট্রাইকার জেসুস জিমেনেজ ও নোয়া সাদাউই জুটি গোল করতে বড় ভূমিকা নিয়ে থাকেন। তাই কেরলের আক্রমণের সময় সবুজ মেরুন রক্ষণভাগকে আরও বেশি প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।


কোচ হোসে মোলিনা মনে করেন, যেভাবে দল এগিয়ে চলেছে, তাতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে, খেলার মাঠে আগাম ফলাফল বলা সম্ভব হয় না। কিন্তু দলের পারফরম্যান্সের উপরেই অনেককিছুই ভাবনা আসতে পারে। আবার অনেক সময় অঘটনও ঘটে যায়। তবুও বলব, সবুজ-মেরুন ফুটবলাররা নিজেদের প্রতি অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী।