মনবীর সিং ও আপুইয়াকে ছাড়াই প্রথম লেগের সেমিফাইনাল মোহনবাগান খেলতে গেল জামশেদপুরে। এই দুই ফুটবলারকে নিয়ে একদিন আগেই একটা সংশয় তৈরি হয়েছিল। যেহেতু ঠিকমতো প্র্যাকটিস করতে পারেননি তাঁরা। তবে আপুইয়ার অনুশীলনের ধরন দেখে মনে হয়েছিল, তাঁর খেলা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু কোচ জোস মোলিনা কোনও ঝুঁকি নিলেন না। সকালে জামশেদপুরে উড়ে যাওয়ার আগে কোচ মোলিনা এই দুই ফুটবলারকে দলে রাখলেন না। আসলে এই দু’জনকে বিশ্রাম দিতে চাইছেন কোচ।
পুরো ফিট হওয়ার পরে এই দুই ফুটবলারকে যাতে ৭ এপ্রিল মাঠে নামানো যায়, সেই ভাবনা রয়েছে কোচের। বৃহস্পতিবার প্রথম সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচে কোনও অঘটন ঘটলেও তা পরের ম্যাচে তা অন্যভাবে অঙ্ক কষতে হবে। তাই বাড়তি ঝুঁকি নিতে চাননি স্প্যানিশ কোচ। এবার জামশেদপুরের সঙ্গে দু’বারের সাক্ষাতে মোহনবাগান অপারেজয়। ঘরের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছিলেন ম্যাকলারেনরা। অ্যাওয়ে ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হয়েছিল।
তবে মোহনবাগান দুটো খেলাতেই প্রাধান্য দেখিয়েছিল। অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করলেও প্রচুর সুযোগ নষ্ট করেছিলেন লিস্টন কোলাসো, জেসন কামিন্স, ম্যাকলারেনরা। জামশেদপুর বিরতির পর কিছুটা সময় ঘুরে দাঁড়িয়েছিল ঠিকই, কিন্তু পুরো ম্যাচে প্রাধান্য দেখিয়েছিল মোহনবাগান। স্টিফন এজে হলেন জামশেদপুরের আসল স্তম্ভ। তিনি যেমন রক্ষণকে ভরসা দেন, আবার আক্রমণের সময়ও দেখা যায় তিনি অগ্রণী ভূমিকা নিচ্ছেন।
সুতরাং স্টিফনকে যদি ইস্পাত নগরীর বক্সের মধ্যে ব্যস্ত রাখা যায়, তাহলে গোল পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে পারে জামশেদপুর। তবে নর্থ-ইস্টকে হারানোর পর নিশ্চয় মানসিকতায় পরিবর্তন ঘটেছে দলের। তাই প্রথম সেমিফাইনালে মোহনবাগানকে চাপে রেখে গোল করে নিতে চাইছে। যদি সেই কাজ সফল হয়, তাহলে সমস্যায় পড়তে হবে মোহনবাগানকে।
মোহনবাগানও চাইবে, কোনওভাবেই যাতে হারতে না হয়। যদি ড্র রেখে কলকাতায় ফিরে আসতে পারে, তাহলে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠে খালিদ জামিলদের হারানোর জন্য সবরকম অঙ্ক কষা যাবে। তবে মনবীর ও আপুইয়ার জায়গায় কে খেলবেন, তা কোচ স্পষ্ট না করলেও সম্ভবত অনিরুদ্ধ থাপা ও দীপক টাংরিকে প্রস্তুত রাখবেন কোচ হোসে মোলিনা। সেই কারণে মোহনবাগানের কাছে অত্যন্ত জরুরি প্রথম লেগের সেমিফাইনাল ম্যাচটা নিজেদের আয়ত্তে রাখা।