জয়ের স্বপ্নে আশাবাদী এটিকে মােহনবাগানের কোচ হাবাস

অ্যান্তোনিও লােপেস হাবাস (Photo: Twitter/@ATKFC)

আর কোনও অপেক্ষা নয়, এবারে ফাইনাল খেলাতে বাজিমাত করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছেন এটিকে মােহনবাগানের কোচ হবাস। একদিন বিশ্রাম নিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে আবার অনুশীলনে নেমে পড়েছেন। তিনি খেলােয়াড়দের এমনই একটি বার্তা দিয়েছেন, যাতে কোনওভাবেই আত্মবিশ্বাসে চিড় না ধরে। তার জন্য চাই দৃঢ় মনােবল।

গত ম্যাচের ফলাফলের দিকে কোনও তাকানাে নয়। যা অতীত হয়ে গেছে তা নিয়ে ভাবার কোনও কারণ নেই। সামনের ম্যাচ জেতার অর্থ ভারত সেরা দল হওয়া। আর এই খেতাবটা যদি হাতের মুঠোয় চলে আসে, তখন এএফসি পরিচালিত চ্যাম্পিয়নস ক্লাব টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার সুযােগ থাকবে।

সেই কারণেই মর্যাদার লড়াইয়ে মুম্বই সিটি এফসি’কে পরাস্ত করতেই হবে। মনে রাখতে হবে, গ্রুপ লিগের ম্যাচে দু -দু’বার এটিকে মােবাগানকে হারিয়ে মুম্বই সিটি এফসি বেশ কিছুটা এগিয়ে রয়েছে। মুম্বইয়ের কোচ লােবেরাে বিপক্ষ দলের খেলােয়াড়দের ভালাে করে চেনেন এবং তারা কীভাবে আক্রমণ গড়ে তােলে, সে সম্পর্কে ভালাে রিডিং আছে।


একথাও তিনি জানেন সবুজ-মেরুণ শিবিরের সবচেয়ে বড় অস্ত্র রয় কৃষ্ণ। রয় কৃষক খেলতে না দিতে পারলে দলের অন্যান্য খেলােয়াড়রা কিছুটা পিছিয়ে পড়লে। সেক্ষেত্রে মুম্বইয়ের কোচ নিশ্চয়ই এমন ছক কষে খেলার চেষ্টা করবেন, যাতে শুধু রয় কৃষকেই নয়, পিছন থেকে উঠে আসা মনবীর সিংকে অকেজো করে।

প্রয়ােজনে ডেভিড উইলিয়ামসকে এমনভাবে ঘেরাও করে রাখা হবে, যাতে কোনওভাবেই বল নিয়ে ঠিকানা লেখা পাশ না বাড়াতে পারেন। আবার এডু গার্সিয়াকে চোখে চোখে রাখতে চাইছেন মুম্বইয়ের কোচ। অর্থাৎ এই ম্যাচটা এমন একটা জায়গায় পৌঁছতে পারে, যা নিয়ে ফুটবল বিশেষজ্ঞরাও আগাম কোনও আভাস দিতে পারলে না।

দুই কোচের কাছে মর্যাদার লড়াই। ইতিমধ্যেই মুম্বই সিটি এফসি আগামী বছরের জন্য এশিয় চ্যাম্পিয়নস লিগের খেলার সুযোেগ তৈরি করে নিয়েছে লিগে সর্বোচ্চ স্থান দখল করে। অল্পের জন্য এই সুযােগটা হাতঘড়া হয়ে যায় কোচ হাবাসের দলের।

অনেক সময় ছােট ছােট ভুল থেকে বিপদ ঘনীভূত হয়। ঠিক সেইভাবেই সবুজ-মেরুণ শিবিরে দ্বিতীয় লেগের। খেলায় এমনই ছবি দেখতে পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে ছােট সুযােগ থেকেই মুম্বই সিটি গােল করে এটিকে মােহনবাগানকে পরাস্ত করেছে।

সেই ভুল যাতে না হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকতে চাইছেন মােহনবাগানের রক্ষণ ভাগ থেকে মাঝমাঠের খেলােয়াড়রা। রক্ষণ ভাগের ফুটবলাররা মাঝেমধ্যেই একটু এলােমেলা হয়ে যান, তাই সবুজমেরুণ শিবিরের চেষ্টাটা সফল হতে পারে না।

গােলরক্ষক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে আরও বেশি নিজের প্রতি আস্থা রেখে খেলতে হবে। দেখতে হবে বিপক্ষ দলের আক্রমণের উৎসটা কীভাবে তৈরি হচ্ছে। আর তখনই সতীর্থ খেলােয়াড়দের সতর্ক করে দিতে হবে গােলরক্ষক অরিন্দমকে। বিপক্ষ দলের ওগবেচে গােলের মধ্যে রয়েছেন। হঠাৎ হঠাৎ তার ঝলক যে কোনও দলের কাছে বিপদের হাতছানি হয়ে দাঁড়ায়।

তবে কোচ হাবাসও চেষ্টা করবেন এটিকে মােহনবাগানের অভিষেক বছরে জয়ের খেতাব তুলে নিতে। তাহলে নতুন একটা দিক চিহ্নিত হবে। সমর্থকরাও অপেক্ষায় রয়েছেন প্রিয় দলের জয় দেখার জন্য।