• facebook
  • twitter
Thursday, 19 September, 2024

মাঠ নিয়ে সমস্যায় মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল

শেষ আটের ডুরান্ড কাপ ফুটবল

নিরাপত্তার কারণে ডুরান্ড কাপ ফুটবলের ডার্বি ম্যাচ বাতিল হওয়ার পরে আয়োজক সংস্থা কোনওভাবেই আর ঝুঁকি নিতে চায়নি মোহনবাগান সুপারজায়ান্টস ও ইস্টবেঙ্গলের খেলা কলকাতায় করানোর ব্যাপারে। তাই মোহনবাগানের খেলা সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জামশেদপুরে আর ইস্টবেঙ্গলের খেলা হবে শিলংয়ের মাঠে। অর্থাৎ কলকাতায় এই মুহূর্তে ডুরান্ড কাপের কোনও খেলা হচ্ছে না। কোয়ার্টার ফাইনালে মোহনবাগান খেলবে পাঞ্জাব এফসি’র সঙ্গে। আর ইস্টবেঙ্গল খেলবে এফসি লাজংয়ের বিরুদ্ধে। স্বাভাবিকভাবে শেষ আটের খেলায় অংশ নেওয়ার জন্য আগেভাগেই দুই দল পৌঁছে গিয়েছে নির্দিষ্ট জায়গায়। জামশেদপুরে মোহনবাগান পৌঁছে যাওয়ার পরেই হোটেলের ঘর ও অনুশীলনের মাঠ নিয়ে বেশ সমস্যায় পড়ে গিয়েছে। আগামী ২৩ আগস্ট মোহনবাগান খেলবে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে। সেখানে খেলোয়াড়দের জন্য নির্দিষ্ট ঘর না থাকায় কোচ হোসে মোলিনা বেশ চিন্তায় পড়ে গেছেন। দলের খেলোয়াড়দের জন্য ৩২টি ঘরের প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ২০টি ঘর পাওয়া গেছে। আবার পুরো দলটিকে দু’টি হোটেলে রাখা সম্ভব নয়। তাতে কোচ ও খেলোয়াড়রাও আপত্তি জানিয়েছেন। মঙ্গলবার খেলোয়াড়দের একই হোটেলে থাকার ব্যাপারে চেষ্টা করা হচ্ছে। তারপরে আবার অনুশীলনের জন্য মাঠ পাওয়া যাচ্ছে না। যেখানে খেলা হবে, সেই মাঠে কোনওভাবেই অনুশীলন করার অনুমতি নেই। সবুজ-মেরুন শিবিরে একাধিক বিশ্বকাপার রয়েছেন। যার ফলে ওই খেলোয়াড়দের কোনওভাবেই খারাপ মাঠে অনুশীলনের জন্য নামানো সম্ভব হবে না। তাতে চোট পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে ডুরান্ড কাপ ফুটবলের ফাইনালে মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল মুখোমুখি হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতায় ম্যাচ হবে কিনা, তা নিয়েও চিন্তা রয়েছে। ডুরান্ড কাপের সূচি অনুযায়ী দু’টি সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা নির্দিষ্ট ছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা করা যাবে না। তা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে আয়োজক সংস্থা কী করবে, তা এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

অন্যদিকে ডুরান্ড কাপের শেষ আটে খেলার জন্য শিলংয়ে পৌঁছে গেছে ইস্টবেঙ্গল। সোমবার প্র্যাকটিস করেই ইস্টবেঙ্গলের খেলোয়াড়রা শিলিংয়ের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দিয়েছে। এই মুহূর্তে ডুরান্ড কাপে খেলার জন্য দুরন্ত ফর্মে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড। তবে শিলং লাজং দলও কোনওভাবেই হালকা চালে খেলাটা নেবে না। তারাও চাইবে ঘরের মাঠে ম্যাচটা জিততে। কোচ কার্লোস কুয়াদ্রাতও খেলোয়াড়দের নিয়ে অনুশীলন করেছেন মঙ্গলবার। খেলা হবে বুধবার কৃত্রিম মাঠে। তাই ঘাসের মাঠে অনুশীলন করার পরে কৃত্রিম মাঠে খেলাটা বেশ কঠিন হতে পারে। কোচ কুয়াদ্রাত মনে করেন প্রতিপক্ষ দলের ফুটবলাররা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিতে পারেন। কিন্তু তাঁদের চ্যালেঞ্জকে অবশ্যই সামনে রেখে লাল-হলুদ ব্রিগেডের ফুটবলাররাও আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে মাঠে নামবেন।