ডুরান্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতা থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব। তবে মঙ্গলবার নিয়মরক্ষার ম্যাচে সাদা কালো শিবির জয় পেল ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে ১-০ গোলের ব্যবধানে। এটাই গ্রুপের শেষ ম্যাচ ছিল তাদের কাছে। প্রথম ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং ড্র করেছিল। তারপরে দ্বিতীয় ম্যাচে বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে গিয়ে ছিটকে যায় ডুরান্ড কাপ থেকে। তাই এদিনের ম্যাচে সেই অর্থে কোনও গুরুত্বই ছিল না। তবুও ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে খেলতে নেমে মহমেডান স্পোর্টিয়ের সুজিত সিংয়ের দুরন্ত গোল দেখলেন দর্শকরা। কর্নার পেয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং। সেই কর্নার থেকে বল পেয়েছিলেন সুজিত। অবশ্য তার আগে ইন্ডিয়ান নেভির গোলরক্ষক কোনওভাবে বলটি ফেরত পাঠায়। ফিরতি বলে সুজিত গোল করে সাদ কালো শিবিরকে এগিয়ে দেন। মহমেডান স্পোর্টিং সুযোগ পেয়েছিল কিন্তু সেই সুযোগ কাজে আসেনি।
ডুরান্ড কাপ অভিযান মহমেডান স্পোর্টিংয়ের শেষ হয়েছে। কিন্তু কলকাতা ফুটবল লিগেও গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল এবারে নজর কাড়তে পারছে না। তারপরেও আইএসএল ফুটবল তাদের খেলতে হবে। কবে থেকে ক্লাবের অনুশীলন শুরু হবে তা নিয়ে এখনও ক্লাব কর্মকর্তারা স্পষ্ট ধারনা দেননি। তবে বুধবার সকালে কলকাতায় আসছেন রাশিয়ান কোচ আন্দ্রে চেরোনিশভ। খুব সম্ভবত ১৪ আগস্ট থেকে অনুশীলন শুরু হবার কথা রয়েছে।
এদিকে কলকাতা ফুটবল লিগে গ্রুপ ‘এ’ তে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেল ডায়মন্ড হারবার এফসি। মঙ্গলবার কল্যাণীতে ডায়মন্ড হারবার এফসি ৪-১ গোলে হারিয়ে দিল খিদিরপুর ক্লাবকে। বিরতির আগে ডায়মন্ড হারবার ২-১ গোলে এগিয়ে গিয়েছিল। কোচ কিবু ভিকুনার দল প্রথম থেকেই আক্রমণে গতি বাড়িয়ে প্রতিপক্ষ খিদিরপুর ক্লাবকে প্রায় কোণঠাসা করে দেয়। মাত্র ১৫ মিনিটের মধ্যেই ডায়মন্ড হারবার ৩ গোল পেয়ে যায়। খেলার ৭ মিনিটের মাথায় বিক্রমজিৎ সিংয়ের গোলে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির ক্লাব ডায়মন্ড হারবার এফসি এগিয়ে যায়। অবশ্য শেল্টন নিক্সন গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। তার ৪ মিনিট বাদেই আবার গোল পেয়ে যায় ডায়মন্ড হারবার। এবারের গোলদাতা রাহুল পাসোয়ান। দ্বিতীয় পর্বের খেলার শুরুতেই ডায়মন্ড হারবার গোল পেয়ে যায়। গোলদাতা আইমার আদম। সংযুক্ত সময় ডায়মন্ড হারবারের আইমার তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে ৪-১ গোলের ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে দেন। এদিন অবশ্য দলের হয়ে জবি জাস্টিন খেলেননি।