মহমেডান স্পোর্টিং চমক দিতে চাইছে

মহামেডান ক্লাব। ফাইল চিত্র

মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অন্দরে খেলোয়াড়দের বকেয়া মাইনে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পরেও তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনায় মুখর কলকাতা ময়দান। সেই অর্থে কলকাতার অপর দুই প্রধান যেভাবে দল গঠন করেছে, সেই জায়গায় মহমেডান স্পোর্টিং গুছিয়ে দল গঠনে নজর না কাড়লেও এখন খেলায় সমর্থকদের নতুন আশার কথা বলতে শুরু করেছে। পরপর তিনটি ম্যাচে অপরাজিত থাকল মহমেডান স্পোর্টিং। তারই মধ্যে সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে সাদা-কালো ব্রিগেড সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। তাও আবার অ্যাওয়ে ম্যাচে।

স্বাভাবিকভাবেই আত্মবিশ্বাসে ভরপুর থেকে গত বুধবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে মহমেডান স্পোর্টিং ২ গোলে পিছিয়ে থেকেও এক স্বপ্নের খেলা খেলল চেন্নাইয়েন এফসি’র বিরুদ্ধে। খেলার শেষ সাত মিনিটে পরপর দু’টি গোল করে খেলায় সমতা ফিরিয়ে এনে দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছেন ফুটবলাররা। বলতে দ্বিধা নেই, এই মহমেডান স্পোর্টিং অবিশ্বাস্য, অভাবনীয় ও অসাধারণ খেলা উপহার দিয়ে নজির গড়ে ফেলল। কোচ আন্দ্রে চেরনিশোভ এই জয়ের পিছনে সহজ কতগুলি কারণের কথা শুনিয়েছেন।

কোচ চেরনিশোভ বলেছেন, বিরতির সময় ড্রেসিং রুমে খেলোয়াড়দের নিয়ে ছোট্ট একটা আলোচনা করা হয়েছিল। প্রত্যেক খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট ভাবে বলা হয়েছিল, তোমরাই পারো খেলার চেহারা বদলে দিতে। কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই লড়াইটা বাংলার জন্য, সাদা-কালো শিবিরের জন্য। আর মনে রাখতে হবে প্রতিপক্ষ দল আমাদের কখনও ছাপিয়ে যেতে পারবে না। খেলার মধ্যে যে সংগ্রামী ভূমিকা থাকে, তা নিয়ে লড়াই করতে হবে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।


প্রতিপক্ষকে একবার চাপে ফেলতে পারলেই জয় আমাদের নিশ্চিত। জয় হয়তো এলো না, কিন্তু শেষ সাত মিনিটে মহমেডান স্পোর্টিং যে খেলা খেলল, তা অনেকদিন হৃদয়ে লেখা থাকবে। কারা যেন বলেছিল, আইএসএল ফুটবলের অভিষেকে মহমেডান স্পোর্টিংকে ভালো জায়গায় দেখতে পাওয়া যাবে না। কিন্তু ধীরে ধীরে চেহারা বদল করে দিয়ে সাদা-কালো ফুটবলাররা মাঠের মধ্যে ছন্দের ফুলঝুরি উড়িয়ে দিচ্ছিলেন। যার ফলে দলের প্রতিটি ফুটবলার আরও বেশি উজ্জীবিত ফুটবল খেলতে শুরু করেছেন। দলের মধ্যে এসেছে সমন্বয় এবং ভালো খেলার একটা জেদ। সেই শপথে ঘুরে দাঁড়াতে চইছে মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাব।