• facebook
  • twitter
Wednesday, 13 November, 2024

মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবে অভ্যন্তরীণ অস্বস্তি বাড়ছে

ন’জনকে পেয়েও ইস্টবেঙ্গলের মতো দলকে না হারাতে পেরে সবাই অখুশি। শোনা যাচ্ছে অ্যালেক্সিস দেশে ফিরে গেছেন। তিনি বাবা হতে চলেছেন। সেই কারণেই তিনি আর এই মুহূর্তে খেলার জায়গায় নেই।

মহামেডান ক্লাব। ফাইল চিত্র

আইএসএল ফুটবলে গত শনিবার গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিং লড়াইয়ে নেমেছিল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গণে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে। খেলা শুরু হওয়ার আগে দুই দলের কোচই হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন, ম্যাচ আমাদের দখলেই রাখতে হবে। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার ২৯ মিনিটের মাথায় লাল-হলুদ শিবিরের দুই ফুটবলার লাল কার্ড দেখে মাঠের বাইরে চলে যান। ইস্টবেঙ্গল বাকি সময়টা ৯ জনে খেলে মহমেডান স্পোর্টিংকে গোল করতে দেয়নি। কিন্তু প্রশ্ন ওঠে, রাশিয়ান কোচ আন্দ্রে চেরনিশভ বিপক্ষ দলের ন’জনকে পেয়েও কোনও ছক পরিবর্তন না করে গোলের সন্ধানে খেলোয়াড়দের কেন নির্দেশ দেননি? সাধারণত এই ধরনের ম্যাচে ৯ জন খেলার অর্থ অনেক বেশি জায়গা পেয়ে যাওয়া। সেই খোলা জায়গা থেকে গোল করাটা অবশ্যই প্রয়োজন ছিল মহমেডান স্পোর্টিংয়ের। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে নানারকম চর্চা হচ্ছে।

এমনকি ভোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও বলা হচ্ছে। আর তখনই মহমেডান স্পোর্টিং শিবিরে নতুন করে অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। আর এই অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে তুলেছেন আর্জেন্টিনার ফুটবলার অ্যালেক্সিস ও কাসিমভ। মাঠের মধ্যেই এই দুই খেলোয়াড় ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। একে অপরের বিরুদ্ধে দোষারোপ করে তর্কাতর্কি শুরু করে দেন। পরে দেখা যায় কাসিমভ আর্জেন্টিনার ফুটবলার অ্যালেক্সিসের মুখে হাত দিয়ে ধাক্কা মারেন। এই ঘটনা দেখে মহমেডানের কোচ কোনওরকম ঝুঁকি নিতে চাননি। তাই বিরতির পরে অ্যালেক্সিসকে আর মাঠে নামাননি। বিরতির সময় দেখা গিয়েছিল এই দুই ফুটবলার তীব্র স্বরে তর্কাতর্কি করে চলেছেন। তাই দুই ফুটবলারকে বিরতির পরে মাঠে নামাননি।

কোচ চেরনিশভের এই সিদ্ধান্তকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেননি আর্জেন্টিার ফুটবলার। এমনকি পেনাল্টি বক্সের মধ্যে অ্যালেক্সিসকে নিয়ে চিন্তা বেশ বড় করে দেখা দিয়েছিল।

ন’জনকে পেয়েও ইস্টবেঙ্গলের মতো দলকে না হারাতে পেরে সবাই অখুশি। শোনা যাচ্ছে অ্যালেক্সিস দেশে ফিরে গেছেন। তিনি বাবা হতে চলেছেন। সেই কারণেই তিনি আর এই মুহূর্তে খেলার জায়গায় নেই। পাশাপাশি, মহমেডান স্পোর্টিংয়ের সমর্থকরা রাশিয়ান কোচের প্রশিক্ষণকে কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছেন না। বরঞ্চ দলের মধ্যে ব্যবধান তৈরি হচ্ছে খেলোয়াড়দের। এইভাবে দল চলতে পারে না। কর্মকর্তারাও চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন। কোচ পরিবর্তন করে নতুন কাউকে আনা হবে কিনা। তবে বিনিয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে এই সপ্তাহে আলোচনায় বসবেন ক্লাবের কর্মকর্তারা।