আর কয়েকদিন বাদেই ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলেছে সুপার কাপ ফুটবল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মহমেডান স্পোর্টিং ক্লাবের অচলাবস্থা একই জায়গায় রয়েছে। ফুটবলার ও কোচদের সঙ্গে মহমেডানের সাদা-কালো শিবিরের কর্মকর্তারা বৈঠকে বসেছিলেন। বিদেশি ফুটবলারদের বেতন নিয়ে জটিলতা রয়েছে। কীভাবে তাঁরা বকেয়া অর্থ পাবেন, তা নিয়ে জানতে চান। সুপার কাপে খেলতে যাওয়ার আগে ফুটবলারদের অনুশীলনে নামতে অনুরোধ করেছেন মহমেডানের কর্মকর্তরা। ফুটবলারদের অভিমত, অনুশীলনের আগে এক মাসের বেতন ও দু’মাসের অ্যালাউন্স দিতে হবে। ফুটবলারদের এই দাবির কথা শুনতে পেয়ে কর্মকর্তারা বলেছেন, দু-একদিন সময় দিতে হবে ব্যাপারটির কীভাবে সমাধান করা যায়।
অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত ইনভেস্টর শ্রাচি গ্রুপের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে পারেনি সাদা-কালো শিবির। এমন কি এফএসডিএল থেকে পাওয়া চিঠিরও জবাব দিতে পারেনি তারা। এফএসডিএলকে ১১ এপ্রিলের মধ্যে জবাব দিতে হবে। জানা গিয়েছে, সময় নিয়েই আইনজীবীদের দিয়ে এই চিঠি তৈরি করছেন তাঁরা। প্রসঙ্গত, এফএসডিএলকে চিঠি দিয়ে ইনভেস্টর শ্রাচি জানিয়ে দিয়েছিল, আশ্বাস মতো শেয়ার না পাওয়ায় মহামেডানের আর দায় নেবে না তারা।
এফএসডিএলকে করা ই-মেলে ‘সিসি’ করা হয়েছিল মহমেডান ও এআইএফএফকে। এই অবস্থায় কীভাবে সুপার কাপ ফুটবলে মহমেডান অংশ নেবে, তা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছেন কর্মকর্তারা। যদি আগামী এক মাসের মধ্যে মহমেডান স্পোটিং স্পনসর জোগাড় করতে না পারে, তাহলে আগামী মরশুমে আইএসএল ফুটবল থেকে বাদের তালিকায় পড়তে হবে তাদের।