একের পর এক ডামাডােল লেগেই রয়েছে। নিশ্চিন্ত হওয়ার শান্তি নেই। খুশির দীপাবলি কাটতে না কাটতেই নাশকতার যােগ। একেই তাে ভারত সফরে আসা নিয়ে বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে একটা ঝামেলা চলছিল। এবং ভারত সফরে আসার আগে তারা স্ট্রাইকে চলে গিয়েছিল।
তারপর বাংলাদেশ ক্রিকেট বাের্ড কর্তারা ক্রিকেটারদের সব দাবি মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় তারা ভারত সফরে আসার জন্য সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, সাকিব অল হাসানকে আরাে এক অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ভারত সফরে আসার আগে সাকিবকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না অর্থাৎ তিনি প্র্যাকটিসে যােগ দিচ্ছেন না।
এই সমস্যা মিটতে না মিটতেই আরাে একটা নতুন সমস্যার তৈরি হল। মঙ্গলবার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার (এনআইএ)’র কাছে পাঠানাে অল ইন্ডিয়া লস্কর-ই-তৈবার হিটলিস্টে ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক বিরাট কোহলির নাম থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। দিল্লি পুলিশকে ভারতীয় দলের নিরাপত্তা বাড়ানাের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে।
বিরাট যদিও টি-টোয়েন্টি সিরিজে বিশ্রামে রয়েছেন। তবুও প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে দলের বাকি ক্রিকেটারদের যাতে কোনাে অসুবিধার মধ্যে পড়তে না হয় সেজন্য নিরাপত্তা বাড়ানাে হয়েছে। দিল্লি পুলিশ সূত্রে আরাে খবর, এনআইএ-র কাছে যে চিঠি পাঠানাে হয়েছে, তাতে বিরাট ছাড়াও রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী সহ আরাে কিছুজনের নাম রয়েছে এই তালিকায়।
বিসিসিআইকে এ বিষয়ে অবহিত করেছে এনআইএ। এই চিঠি আদৌ সত্যিকারের নাকি ভুয়াে সে বিষয়ে সংশয় থাকলেও, বিরাট কোহলি সহ বাকি ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার বিষয়ে কোনােরকম ঝুঁকি নিতে নারাজ পুলিশ। তাই প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম নিরাপত্তার বলয়ে পুরােপুরি ঢাকা থাকবে সেটা নিশ্চিতভাবে এখন থেকে বলা যায়।
এই ব্যাপারটিকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। কারণ বেনামী চিঠি, প্রাথমিকভাবে ভুয়াে চিঠিতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে মনে করা হলেও ক্রিকেটারদের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ দিল্লি পুলিশ। ফলে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভারত ও সফরকারী বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের ব্যবস্থা আরাে জোড়ালাে করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।